এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল। শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ স্কুলপাড়া এলাকায়। ওই তৃণমূল নেতার নাম অমিত রায়। রায়গঞ্জ ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অমিতবাবু রায়গঞ্জের হাতিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। পাশাপাশি, তিনি তৃণমূলের শিক্ষাসেলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতিও। ওই দিন রাতে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। অমিতবাবুর অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁর নাম করে গালাগালি করে। তাঁর স্ত্রী তথা সুভাষগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি অর্পিতাদেবী দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে আসতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। অর্পিতাদেবী চিত্কার শুরু করলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায়। তাঁর শরীরে অবশ্য গুলি লাগেনি। এরপর দুষ্কৃতীরা ইটের টুকরো ছুড়ে অমিতবাবুর সিঁড়িঘরের একটি জানালার কাচ ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। রাতেই খবর পেয়ে অমিতবাবুর বাড়িতে যায় পুলিশ। অমিতবাবুর দাবি, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে। রবিবার দুপুরে অর্পিতাদেবী স্থানীয় দেশবন্ধু পাড়া এলাকার বাসিন্দা এক প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক সহ দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তীর দাবি, অর্পিতাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসার পর অমিতবাবু ফোন করে পুলিশকে ডেকে একটি কার্তুজ তুলে দিয়েছেন। দুষ্কৃতীরা অর্পিতাদেবীকে গুলি ছুড়েছিল বলে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ভাঙচুর, হুমকি ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। অভিযুক্তরা সরাসরি কোনও রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত নয়। গৌতমবাবু বলেন,‘‘ একটি প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কিছু দিন আগে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অমিতবাবু সরব হয়েছিলেন। তার জেরেই ওই দিন তাঁর বাড়িতে হামলা হয়েছে। নাকি টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে অমিতবাবুর সঙ্গে কারোর পুরনো শত্রুতার জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
রায়গঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি পূর্ণেন্দু দে-র দাবি, ‘‘অমিতবাবুর বাড়িতে হামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতার জেরে তাঁর বাড়িতে হামলা হয়ে থাকতে পারে।’’
অমিতবাবুর দাবি, ‘‘স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠলে আমি ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। সে কারণেই এই হামলা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy