প্রয়োজন: দুয়ারে সরকারে বার্ধক্য ভাতা করাতে অপেক্ষায় বৃদ্ধারা। বালুরঘাটের শিবিরে। নিজস্ব চিত্র
করণদিঘির লাহুতারা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে কামারতোর হাইস্কুলে শুক্রবার 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিতে এসে বাসিন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহ। টাকা জমা দিয়েও শৌচাগার না পাওয়া, আবেদন করেও সরকারি ঘর না পাওয়া, পানীয় জলের সমস্যা, বিধবা ও বার্ধক্যভাতা না পাওয়া-সহ একাধিক বিষয়ে বিধায়ককে নালিশ জানান এলাকার বাসিন্দারা।
বিধায়ক বিষয়গুলি দেখার ও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। শিবিরে উপস্থিত বিডিও-সহ প্রশাসনের অন্যন্য আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন। ওই এলাকার বাসিন্দা ৬৫ বছরের শেখ শরিফুল আলম বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মেলেনি বার্ধক্যভাতা। এ দিন বিধায়ককের সামনে সেই ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। শিবিরে বসে শরিফুলের আবেদন ফরম পূরণ করে দেন বিধায়ক। এ দিনের শিবিরে স্বাস্থ্যসাথী এবং খাদ্য সাথী স্টলে ভিড় উপচে পড়ে।
এলাকার বাসিন্দা নরেন সিংহ অভিযোগে করেন, তাঁর বাড়িতে শৌচাগার নেই। জন প্রতিনিধি ও পঞ্চায়েতে জানিয়েও লাভ না হওয়ায় অন্যের বাড়িতে গিয়ে শৌচকর্ম করেন। এ ছাড়াও এলাকার রেশন ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভের কথা জানান বাসিন্দারা। রেশন ডিলারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন। বালিচার গ্রামের বাসিন্দা মইনুল ইসলাম, রঞ্জন সিংহ অভিযোগ করেন, রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।বালিচারের রাস্তাটিও সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা।
বিধায়ক বলেন, "সাধারণ মানুষ যাতে পরিষেবা পান, তাই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে। অনেকে সমস্যার কথা বলেছেন। সে গুলো মেটাবার চেষ্টা করা হবে। এলাকাগুলিতে রাস্তাঘাট, পানীয় জলের অনেক উন্নতি হয়েছে।
ইসলামপুর মহকুমা মহকুমাশাসক সপ্তর্ষি নাগ বলেন, "উপভোক্তারা শিবিরের মাধ্যমে প্রকল্পগুলি জেনে নাম নথিভুক্ত করতে করছেন। এ ছাড়া কোনও অভিযোগ থাকলে তা নিয়েও পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy