অঙ্কন: কুণাল বর্মন।
বেশি খাওয়া মানেই ‘লাল কার্ড’। সে খাওয়া ভুঁড়িই বাড়াক বা মানিব্যাগ, দুটোতেই আপত্তি শিলিগুড়ির নতুন পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহের।
১৬ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যে তাঁকে তড়িঘড়ি কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। মোটে ২৪ ঘণ্টার নোটিসে। তার পরে চলতি সপ্তাহে কমিশনারেটের সব থানা, বিভাগ ও শাখার আইসি, ওসি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন নতুন সিপি। সেখানেই তিনি সবাইকে সতর্ক করে দেন— ভুঁড়ি এবং ঘুষ নৈব নৈব চ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক সময়কার সন্তোষ ট্রফি পর্যায়ে ফুটবল খেলেছেন এই আইপিএস। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারেটের পরিকল্পনা তৈরির সময়েও তিনি বেশ কিছু নথি বানান। তখনই কমিশনারেটে জিম, ফুটবল মাঠ রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই মতো তৎকালীন মাল্লাগুড়ি পুলিশ লাইনের পরিকাঠামো বদল করা হয়। দার্জিলিঙের এসপি থাকাকালীনও তিনি খেলাধুলো, শরীরচর্চার উপর জোর দিতেন। সেই সময়ই ভুঁড়ি থাকা অফিসারদের নিয়মিত ব্যায়ামের পরামর্শ দিতেন। তেমনিই, টাকা-পয়সাজনিত অভিযোগ নিয়েও বরাবর কঠোর তিনি।
এ বার শিলিগুড়ি এসেই প্রথম বৈঠকেই তিনি জানিয়ে দেন, অফিসারদের ভুঁড়ি একেবারেই না-পসন্দ। দিনে আধ-এক ঘণ্টা কসরতের পরামর্শ দিয়েছেন। আবার ৪০ বছরের নীচে যাঁরা, তাঁদের দৌড়ের ব্যবস্থা করবেন বলেও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ডেপুটি কমিশনারদের তিনি জানিয়েছেন, তোলা বা ঘুষ খেয়ে কারও হয়ে কাজ করার অভিযোগ পেলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু দিন আগে মহিলা থানা, প্রধাননগর থানা, ভক্তিনগর থানাকে ঘিরে নানা অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। তেমনিই, জমির কারবার নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে অফিসারদের। যদিও এসব নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্যে নারাজ পুলিশ কমিশনার। কমিশনারেটের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘ডিপি সিংহ দায়িত্ব নিয়েই সমস্ত অফিসার সম্পর্কে খোঁজখবর করা শুরু করেছেন। বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের ডেকে কথাও বলছেন। শরীর এবং চরিত্র নিয়ে উনি অত্যন্ত সচেতন।’’
এর আগেও একাধিকবার শিলিগুড়ি পুলিশের অফিসারদের অফিসারদের সুস্থ রাখার জন্য নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। করোনার পর থেকে তাতে অবশ্য ভাটা পড়েছে। কমিশনারেটের অফিসারেরা জানান, দিনরাতের ডিউটি, সময়ে অসময়ে খাওয়া, অনিয়মিত ঘুম, টেনশন থেকে বেশিরভাগ অফিসারের শরীরিক সমস্যা তৈরি হয়। তা কাটানোর দাওয়াই-ই দিয়েছেন নতুন সিপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy