Advertisement
০২ মে ২০২৪
Crime

প্রধান ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে দল দূরত্ব বাড়াচ্ছে

প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারের পর দু’পক্ষকে ঘটনা মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপসৃষ্টি করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়দের একাংশ।

১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় রবিবার জনমানব শূন্য রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় রবিবার জনমানব শূন্য রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:২৮
Share: Save:

উত্তর দিনাজপুরে একটি এলাকায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর স্বামীর। যদিও মৃতের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তাঁদের নাম নেই। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের ওই দুই নেতা-নেত্রীর নাম জড়ানোর ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে, ওই দুই নেতা-নেত্রীকে প্রকাশ্যে দলের স্থানীয় ব্লক নেতৃত্ব ‘ক্লিনচিট’ দিলেও, তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল নিয়েছেন। প্রধানের স্বামী ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সভাপতি। স্থানীয় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বলেন, “ঘটনার পর আমরা প্রধান ও তাঁর স্বামীকে ডেকে কথা বলেছি। ওই নাবালিকার মৃত্যুর সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন। তবে, ওঁরা কোনও ভুল করে থাকলে শাস্তি পাবেন।” জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, বিজেপি ওই প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কানাইয়া বলেন, “তবে কেউ বেআইনি কাজ করে থাকলে, আইন আইনের পথে চলুক।”

প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারের পর দু’পক্ষকে ঘটনা মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপসৃষ্টি করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়দের একাংশ। একই অভিযোগ তুলেছিলেন মৃতের মা-ও। শনিবার, প্রধানের বাড়িতে হামলার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধান ও তাঁর স্বামীর দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে ওই নাবালিকা ও তাকে ধর্ষণ, খুনে অভিযুক্ত এলাকার তরুণ নিখোঁজ হয়ে যায়। সেই সময় পরামর্শ নিতে দু’পক্ষই তাঁদের বাড়িতে আসেন। তাঁরা কাউকে ডাকেননি। প্রধানের স্বামী বলেন, “আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের দাবি, “প্রধান ও তাঁর স্বামীকেও তদন্তের আওতায় আনা উচিত পুলিশের।’’ পুলিশের দাবি, তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে, এলাকায় প্ররোচনা রুখে শান্তি বজায় রাখতে এবং নাবালিকার মরদেহের প্রতি ‘অমানবিক আচরণের’ জন্য দায়ী পুলিশের শাস্তি দাবি করেছে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক ব্রজেন সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Gangrape North Dinajpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE