আবার মালদহে খুন তৃণমূল নেতা। এ বার নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে খুন হলেন শাসকদলের এক প্রতিনিধি। রবিবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজার থানায় বারোদুয়ারি এলাকায় ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুবল ঘোষ। তাঁর বাড়ি বারোদুয়ারি এলাকায়। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, রবিবার তাদের এক আত্মীয়ের সন্তানের অন্নপ্রাশন ছিল। ওই উপলক্ষে রাতে ভোজের নিমন্ত্রণ ছিল সুবলের। ওই এলাকাতেই আত্মীয়ের বাড়ি। রাস্তায় সুবলকে একা পেয়ে তাঁর উপর হামলা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। এমনকি, এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে তাড়া করা হয়েছিল তৃণমূল নেতাকে। ধাওয়া করে ধরে সুবলকে একের পর এক হাঁসুয়ার কোপ মারা হয়।
পরে রাস্তা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সুবলকে উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা সুবলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবারের দাবি, সুবল এলাকায় তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতেন এবং সক্রিয় ভাবে দল করতেন। তাই বিজেপি-র একাংশের আক্রোশ ছিল তাঁর উপর। সেই আক্রোশেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকজন কয়েক জনের নামও করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিবারের এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকিরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন:
এই খুনের ঘটনায় মালদহ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু বলেন, ‘‘সুবল ঘোষ দলের সম্পদ ছিলেন। এলাকার বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে কুপিয়ে খুন করেছে। আমরা চাই, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুক পুলিশ।’’ অন্য দিকে, বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, পারিবারিক বিবাদে খুন হয়েছেন সুবল। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে ইংরেজবাজারের এক তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে মারা হয়। দুলাল সরকার ওরফে বাবলার খুনের মামলা এখনও চলছে। তাঁর স্ত্রী চৈতালী ঘোষ সরকারকে সদ্যই জেলা কমিটির চেয়ারম্যানের পদে বসিয়েছে তৃণমূল।