কৃষকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা সীমান্তে। — নিজস্ব চিত্র।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতার লাগোয়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ফাঁসিফেওয়া ব্লকের ক্ষুদিগছ এলাকায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সীমান্তের কাঁটাতারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ আতিবুল (২৯) নামে ওই যুবকের। যদিও তা অস্বীকার করে বিএসএফের পাল্টা বক্তব্য, কাঁটাতারে কোনও ভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না।
আতিবুলের পরিবারের সদস্যদের দাবি, প্রতি দিনের মতো সোমবার সীমান্তে বিএসএফের কাছে নিজের পরিচয়পত্র জমা রেখে জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। চোখের সামনে ছেলেকে ঝলসে যেতে দেখেন আতিবুলের মা। তিনি আতিবুলকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন। আতিবুলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আতিবুলের ভাই মহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘দাদার মাথা থেকে যখন ধোঁয়া বার হচ্ছিল তখন জওয়ানরা বন্ধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ। তার আগে মা ওদের পায়ে পর্যন্ত ধরেছে। কিন্তু লাইন অফ করেনি ওরা। আমাদের সকলের জমি আছে সীমান্তে। আতিবুলের সাত বোন আছে। বাবা দৃষ্টিহীন। এখন কে দেখবে ওদের?’’ আর্থিক সাহায্যের দাবি তুলেছেন আনোয়ার।
এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায় জুড়ে। বিএসএফের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের বচসাও হয় এ নিয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ নিয়ে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণের ডিএসপি অচিন্ত্য গুপ্ত বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনই এভাবে সবটা বলা সম্ভব নয়।’’
বিএসএফের এক কর্তা বলেন, ‘‘সীমান্তের কাঁটাতারে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না। কাঁটাতারের পাশে বৈদ্যুতিক বাতির খুঁটি থাকে। কিন্তু কাঁটাতারে কোনও ভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না।’’ আতিবুলের মৃত্যু ঘিরে থমথমে ক্ষুদিগছ এলাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy