—নিজস্ব চিত্র।
ভুয়ো কর্মীদের দিয়ে পোস্ট অফিসের কাজ করানোর অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জের দেবীনগর সাব-পোস্ট অফিসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এর জেরে অনেকেই সময় মতো ডিজিটাল রেশন কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাচ্ছেন না। ফলে রেশনের খাদ্যসামগ্রী বা স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রের হাত রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের।
গ্রাহকদের অভিযোগ, দেবীনগর সাব-পোস্ট অফিসে পিওনেরা অফিসে আসেন না। তাঁদের বদলে বহিরাগতরা সে কাজ করেন। ফলে সাধারণের প্রাপ্য চিঠিপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া তো দুর অস্ত্, ভুয়ো কর্মীরাই ফোন করে তা পোস্ট অফিস থেকে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন। এমনকি, রাজ্য সরকারের পাঠানো ডিজিটাল রেশন কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও পোস্ট অফিসে পড়ে থাকছে। প্রসেনজিৎ বালো নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘২০১৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রেশন কার্ড পাচ্ছেন না অনেকেই। ডেলিভারি করা হয়েছে লেখা থাকলেও আসলে তা হচ্ছে না। কারও কার্ডের মালিককে মৃত দেখানো হচ্ছে। ফলে অনেকই কার্ড পাচ্ছেন না। পোস্ট অফিসের স্থায়ী কর্মীরা ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে কয়েক জন প্রক্সিতে কাজ করছেন।’’ তবে দেবীনগরের পোস্ট মাস্টার দেবাশিস রায়ের পাল্টা দাবি, ‘‘প্রক্সি নয়, পরিবর্ত হিসাবে দু’জন কাজ করছেন।’’
দেবীনগর সাব-পোস্ট অফিসে যে বহিরাগতরা কাজ করছেন, তা কার্যত স্বীকার করেছেন সুব্রত সরকার। তিনি বলেন, ‘‘রায়গঞ্জ পোস্ট অফিসে দীর্ঘদিন ধরে পরমেশ পালের হয়ে কাজ করছি। কেউ ছুটি নিলে পোস্ট মাস্টারের অনুমতি নিয়ে তাঁর বদলে আমি কাজ করি। বহু চিঠি, রেশন কার্ড পড়ে রয়েছে বললেও আসলে ঠিকানা ভুল থাকায় সেগুলি দেওয়া যাচ্ছে না।’’
গোটা ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। স্থানীয় কাউন্সিলার অভিজিৎ সাহার দাবি, ‘‘দেবীনগর পোস্ট অফিসের পরিষেবা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। লকডাউনের মধ্যে বহু মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যাচ্ছে না। ফলে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ইচ্ছাকৃত ভাবে এটা করা হচ্ছে। কী ভাবে ভুয়ো কর্মীরা কাজ করছেন, তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy