ধর্মনারায়ণ বর্মাকে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
পদ্মশ্রী পাচ্ছেন উত্তরবঙ্গের গৌরব ধর্মনারায়ণ বর্মা। কামতাপুরী সংস্কৃতি নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা রয়েছে তাঁর। জীবনে সায়াহ্নে এসে এই সম্মান পেয়ে এক কথায অভিভূত তিনি। আনন্দিত এলাকার মানুষও, কারণ, তিনি প্রথম রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ যিনি এই সম্মানে ভূষিত হলেন।
বাড়ি তুফানগঞ্জ ২নম্বর ব্লকের বারোকোদালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর গ্রামে। ছোট টিনের ঘরে বাবা দেবশর্মা বর্মা এবং মা মান্দল দেবীর সন্তান ধর্মনারায়ণ ১৯৩৫ সালের ১০ নভেম্বর জন্ম নেন । তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে তৎকালীন ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন তিনি। এর পরেই উচ্চ শিক্ষার জন্য যান কোচবিহার ভিক্টোরিয়া কলেজে। সেখান থেকে আইএ এবং বিএ পাশ করেন। ১৯৫৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ করেন। কিছুদিন শিক্ষকতা করার পর ফিরে আসেন তুফানগঞ্জে।
তুফানগঞ্জে এসেই কামতাপুরি ভাষায় গবেষণা শুরু করেন। ভাষা গবেষণাতেই তার পরিচিতি বাড়তে থাকে। একধারে গবেষক এবং লেখক হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন তিনি। তার লেখা বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘কামতাপুরি ভাষা সাহিত্যের রূপরেখা’, ‘মহাবীর চিলারায়’, ‘মহারাজা নরনারায়ণ’, ‘এ স্টেপ টু কামতা বিহারি ল্যাঙ্গুয়েজ’, ‘কামতা বিহারি ভাষার ব্যাকরণ’। তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হওয়ায় খুশি উত্তরের রাজবংশী সম্প্রদায়। জানা গিয়েছে, তিনি পদ্মশ্রী পাওয়ার ঘোষণার পরেই তুফানগঞ্জ ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে উৎপল দাস-সহ এলাকার অসংখ্য সাধারণ মানুষ তাঁকে সংবর্ধনা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy