বনধে্র জন্য গাড়ির অভাব। এক এক জন যাত্রীকে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধের কারণে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। কেউ বেড়াতে এসেছিলেন, কেউ চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু শুক্রবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে ওই যাত্রীরা পড়েছেন অসুবিধায়। কারণ, বাস পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়তেই শিলিগুড়ি শহর-সহ মহকুমা পরিষদের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। এর ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় যান চলাচল অনেকটাই কমে এসেছে। সমস্যার মুখে পড়েন বিমানবন্দরে আসা যাত্রীরা। এক এক জন যাত্রীকে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ব্যাগপত্র নিয়ে গাড়ির আশায় কেউ কেউ ছোটাছুটি করছেন এ দিক-ও দিক। তাঁরা জানাচ্ছেন, বন্ধের বিষয়ে জানতেন না। আবার যে ক’টি গাড়ি মিলছে চালক এমন ভাড়া হাঁকছেন যে, সেই গাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা আবু কালাম নামে এক যাত্রীর কথায়, ‘‘প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। কোনও যানবাহন পাচ্ছি না। আগে বন্ধের কথা জানতামও না। এখন কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।’’ বেঙ্গালুরু থেকে চিকিৎসা করিয়ে কোচবিহার ফেরার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা মিরজানুল হক বলেন, ‘‘কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিন্দনীয়। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। কিন্তু আচমকা এই বন্ধের জন্য কত ক্ষণ ধরে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। বিমানবন্দর চত্বরে গাড়ি নেই। বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলাম, সেখানেও একই পরিস্থিতি। এখন প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা করে কি না, সে দিকেই তাকিয়ে আছি।’’
শাহনওয়াজ নামে এক যাত্রীর কথায়, ‘‘যে কয়েকটা গাড়ি রয়েছে বিমানবন্দরে তার ভাড়া দেওয়ার মতো আমাদের সামর্থ্য নেই। কাজেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। এখন দেখি বাস পাওয়া যায় কি না।’’
শুক্রবার সকাল থেকেই বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। শিলিগুড়ির পাশাপাশি, গন্ডগোল হয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়িতেও। আটক করা হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং আনন্দময় বর্মণ-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy