Advertisement
E-Paper

আরজি করের ডাক্তারি ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার মালদহ মেডিক্যালের পড়ুয়া প্রেমিক! রাত থেকে চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ

দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা ওই তরুণী আরজি করের পডুয়া। তবে দিন কয়েক আগে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে মালদহে যান তিনি। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের প্রেমিকই তাঁকে বিষ খাইয়ে খুন করেছেন! সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৭
Police arrested in RG Kar medical student’s death case in Malda

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করল তাঁর প্রেমিককে। শনিবার রাতের দিকেই তাঁকে আটক করেছিল পুলিশ। তার পর থেকে টানা ন’ঘণ্টা জেরার পর রবিবার সকালে ডাক্তারি ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন তদন্তকারীরা।

দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা ওই তরুণী ছিলেন আরজি করের পডুয়া। তবে দিন কয়েক আগে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে মালদহে যান তিনি। প্রেমিকও ডাক্তারি পড়ুয়া। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পড়াশোনা করেন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের প্রেমিকই তাঁকে বিষ খাইয়ে খুন করেছেন! সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ।

মৃতার মায়ের দাবি, দিন কয়েক আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে পুরীর মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন মেয়ে ও তাঁর প্রেমিক। পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী। সে কথা জানতে পেরে দু’জনকে সামাজিক মতে বিয়ে করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মেয়ে তাতে রাজি থাকলেও প্রেমিক বেঁকে বসেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপও দিতে থাকেন তরুণী। ধীরে ধীরে দু’জনের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল। এই অবস্থায় দিন চারেক আগে ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য মালদহে গিয়েছিলেন। শুক্রবার তরুণীর পরিবারে ফোন করে কেউ জানান, তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। এর পরে তরুণীর পরিবারের সদস্যেরা মালদহ গিয়ে দেখতে পান, মেয়ের মুখ থেকে ফেনা বার হচ্ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

ওই ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরই প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁর প্রেমিকই ষড়যন্ত্র করে তাঁকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে খুন করেছেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে প্রেমিককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

(ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মতো ঘটনায় আদালত যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। আইনি বাধা রয়েছে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশেও। সেই কারণে আনন্দবাজার ডট কম এই ঘটনায় মৃতা ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ছাত্রের নাম এবং ছবি প্রকাশে বিরত থাকছে। মামলা দায়েরের আগে কোথাও নাম-ছবি প্রকাশিত হলে, তা-ও সরিয়ে ফেলা হয়েছে)

unnatural death arrest Malda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy