Advertisement
E-Paper

আততায়ী কে, কাটেনি ধন্দ

জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘ওই পরিবারের বাড়ি সিল করা হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে অনুর বাড়িতে বহিরাগত কেউ এসেছিল কিনা।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৩৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

একই কৃষক পরিবারের পাঁচ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ ঘটনার কিনারা করতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত গৃহকর্তা অনু বর্মণের বাঁ হাতে লেখা ‘নিখিল কবিরাজ, অঞ্জলি ও সুসেন বর্মন’কে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখিল ও সুসেন তান্ত্রিক বসে পরিচিত। কবিরাজি ও তন্ত্রমন্ত্র সাধনা করেন বলে তাঁদের বিরুদ্ধে জামালপুরবাসী ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। এমনকি ওই গ্রামে তাঁদের বাড়ি কোনটি, সোমবারও কেউ দেখাতে চাননি।

রবিবার সকালে তপন থানার চণ্ডীপুর অঞ্চলের জামালপুরের বাড়ি থেকে অনুর ঝুলন্ত দেহের পাশাপাশি তাঁর বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই নাবালিকা মেয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অনুর বাঁ হাতে বলপেনে লেখা ওই তিন জনের নাম সামনে আসতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বাসিন্দারা। সোমবার অবশ্য এক আত্মীয়ের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিখিল ও সুসেনরা জড়িত নন। তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

এলাকাবাসী কয়েক জন জানান, অনুর সঙ্গে নিখিলদের এক সময় ঘনিষ্ঠতা ছিল। বছর দেড়েক আগে অনু যক্ষায় আক্রান্ত হন। সেই সময় তন্ত্রমন্ত্রে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে। এর পরেই নিখিলদের সঙ্গে অনুর সম্পর্কে ছেদ পড়ে।

এ দিন ঘটনাস্থলে এলাকার বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা গেলে নিহতের পরিজন ও কয়েক জন বাসিন্দা ‘অনু ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন’ বলে পুলিশ সুপারের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন বর্মণ মন্ত্রীকে জানান, যক্ষা আক্রান্ত অনুকে নিয়ে তিনি বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওষুধ খেয়ে অনেক সুস্থ ছিলেন অনু।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসার জন্য অনু সম্প্রতি ৩৩ শতক জমি প্রায় ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। এ দিন সম্পর্কে অনুর ভাইপো বলে পরিচয় দেওয়া অমিত বর্মণ বলেন, ‘‘ওই ৩ লক্ষ টাকা কাকার বাড়িতে ছিল।’’ রবিবার ঘরের আলমারি লক ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান আত্মীয়রা। ওই টাকা সহ ৩ ভরি সোনার গয়নাও লোপাট হয়ে গিয়েছে বলে অমিত জানান। তপন থানার ওসি সৎকার সাংমো অবশ্য টাকাগয়না চুরির অভিযোগ মানতে চাননি।

জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘ওই পরিবারের বাড়ি সিল করা হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে অনুর বাড়িতে বহিরাগত কেউ এসেছিল কিনা।’’

Police Murder Tapan Probe
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy