রাজনৈতিক জমায়েত কি নতুন করে করোনা সংক্রমণে ইন্ধন দেবে?
পরপর কয়েক দিনের বিভিন্ন সমাবেশে ভিড় দেখে এই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল। তাঁদের কথায়, এমনিতেই উত্তরবঙ্গে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। তার উপরে যে ভাবে সব দল ভিড় নিয়ে পথে নামছে এবং সেখানে যে ভাবে স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখানোর অভিযোগ উঠেছে, তাতে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে পারে বলে সকলেরই আশঙ্কা।
চিকিৎসক মহল থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই পরের পর জনসভা, আন্দোলনের দিকে আঙুল তুলছেন। রবিবারই শিলিগুড়ির ইন্দিরা গাঁধী ময়দানে ছিল বিমল গুরুংয়ের জনসভা। সোমবার শিলিগুড়িতেই ছিল বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান। একই দিনে রায়গঞ্জে ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর পদযাত্রা।
প্রতি ক্ষেত্রেই ভিড় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ উঠেছে। সামনেই মুখ্যমন্ত্রীর ডুয়ার্স ও কোচবিহার সফর রয়েছে। সেখানেও একই ধরনের জমায়েত হতে পারে বলে এর মধ্যেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর যে উদ্বেগে আছে, সেটা স্বীকার করেছেন করোনা নিয়ন্ত্রণে উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক তথা ওএসডি সুশান্ত রায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা খুবই চিন্তিত। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। দিনরাত এক করে তাঁরা পরিষেবা দিয়ে পরিস্থিতিটা নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। অথচ সেটা নষ্ট হতে বসেছে।’’ উত্তরবঙ্গে করোনায় এখন পর্যন্ত ৭৩ হাজারের মতো আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৬৭ হাজারের মতো মানুষ।
সম্প্রতি সুস্থ হয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন মাস্ক পরতে। স্যানিটাইজ়ার বা সাবানের ব্যবহার করতেই হবে। দূরত্ববিধি নিয়ে যা বলা হয়েছে, তা মানতে হবে।’’ শিলিগুড়ি ফাইট করোনার তরফে অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ, পরিস্থিতি অনুধাবন করে জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করুন।’’