—প্রতীকী চিত্র।
পণের জন্য তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বধূকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মালদহের পুখুরিয়া থানার কুমাগঞ্জের আজিমগঞ্জ গ্রামের ঘটনা। প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে ওই অন্তঃসত্ত্বার। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে পুখুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্য দিকে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার স্বামী এবং পরিবারের লোকজন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা রবিদাস (২৩)। তাঁর স্বামীর আকালু রবিদাস পেশায় শ্রমিক। পুকুরিয়া থানার আজিমগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। দু’জনের বিয়ে হয়েছিল বছর তিনেক আগে। প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁদের মেয়ের উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। প্রিয়াঙ্কা মা হতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে তার উপর অত্যাচারের মাত্রা কমেনি। ওই অবস্থাতেও তাঁকে দিনের পর দিন শারীরিক এবং মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।
অভিযোগ, গত ১ অগস্ট গভীর রাতে প্রিয়াঙ্কার উপর ভয়ানক অত্যাচার করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এমনকি মারধরের পর তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার বাবা রাজকুমার রবিদাস বলেন, ‘‘পণের দাবিতে আমার মেয়ের উপর অত্যাচার করত। ওরা আমার মেয়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমি দোষীদের শাস্তি চাই।’’
এ নিয়ে মালদহ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy