প্রতীকী ছবি।
বৃষ্টি নেই। অথচ ক্রমেই জল বেড়ে চলেছে আত্রেয়ীর। ফলে সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বন্যা পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। এ জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া, সাফানগর, রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এক রাতের মধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। নতুন করে বালুরঘাটের চকভৃগু, ভাটপাড়া অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কুমারগঞ্জের সমজিয়া লাগোয়া বাংলাদেশের মোহনপুরে আত্রেয়ীর উপর রাবার বাঁধ দিয়ে জল নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে। জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, আত্রেয়ীর জল বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে পুণর্ভবা ও টাঙনের জলও রাতের মধ্যে আরও বাড়তে পারে। জেলার ৮টি ব্লক কমবেশি বন্যার কবলে। বালুরঘাট শহরের দুটি মাত্র পেট্রোল পাম্প। দু’টিতেই ডিজেল ও পেট্রোল শেষ।
পুনর্ভবার নদীর জল বাড়তে থাকায় গঙ্গারামপুর শহর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বংশীহারিতে টাঙন নদ দুকূল ছাপিয়ে ঘরবাড়ি খেতের ফসল ভাসিয়ে দিয়েছে। হিলি, তপন, কুশমন্ডি, হরিরামপুর ব্লকের একাংশ জলের তলায়। কুমারগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর অঞ্চলের ধাধলপাড়া সংসদ এলাকার ২০০ পরিবারের ঘরবাড়ি রবিবার রাতের মধ্যে ডুবে গিয়েছে। বানভাসি বৃদ্ধ রুদ্র হেমব্রম সকালে বলেন, ‘‘রাত থেকে কিছু খাওয়া জোটেনি।’’ ত্রাণ সামগ্রী পাশের শিয়ালপড়ার বানভাসি ৩০০ মানুষের মধ্যে এখনও পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। বানভাসি চকভৃগু এলাকার শতাধিক দুর্গত পরিবার স্থানীয় এনসি হাইস্কুলের শিবিরে রবিবার রাতে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
উত্তর দিনাজপুরে লাগাতার বৃষ্টির ফলেই নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার করণদিঘি চাকুলিয়াতে প্লাবিত কানকি, সূর্যাপুর, নিজামপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় স্পিড বোট নামিয়ে দুর্গতদের উদ্ধার করা হয়েছে। কানকি সূর্যাপুর নিজামপুর মিলে ছয়টি বড় ত্রাণ ও উদ্ধার কেন্দ্র করা হয়েছে। সেখানে খাওয়ারের ব্যবস্থা কদরা হয়েছে। এ দিন ত্রাণ না পৌঁছনোয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy