E-Paper

‘টাকা বিলি’ করছেন রেশন কর্মীরা

সরকারি রেশন দোকানে নিখরচায় পাওয়া আটার প্যাকেট গ্রাহকদের একাংশ খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন, দাবি কর্মীদের।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:০২
রেশনে টাকা। নিজস্ব চিত্র

রেশনে টাকা। নিজস্ব চিত্র

খাদ্য সামগ্রী নয়, সরকারি রেশন দোকানে মিলছে নগদ টাকা। সে টাকা গ্রাহকদের বিলি করছেন খোদ রেশন কর্মীরাই। শুক্রবার দুয়ারে রেশনে মালদহের হবিবপুরের আদিবাসী প্রধান উপর কেন্দুয়া গ্রামে। অভিযোগ, আটার প্যাকেটের বদলে সরকারি রেশন দোকানের কর্মীরা গ্রাহকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন নগদ টাকা।

সরকারি রেশন দোকানে নিখরচায় পাওয়া আটার প্যাকেট গ্রাহকদের একাংশ খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন, দাবি কর্মীদের। তাঁদের দাবি, সে কারণেই তাঁদের কাছ থেকে সরাসরি টাকার বিনিময়ে আটার প্যাকেট কিনে নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, সে আটার প্যাকেট ফের ফিরে যাচ্ছে গোডাউনে। মালদহের খাদ্য সরবরাহ দফতরের নিয়ামক মানিক সাহা বলেন, “রেশনের খাদ্য সামগ্রী কখনই খোলা বাজারে বিক্রি করা যায় না। এ ছাড়া, সরকারি রেশন দোকানে খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়ার ঘটনা একেবারে বেআইনি।” খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

খাদ্য সরবরাহ দফতরের দাবি, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প রয়েছে। খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গ্রাহকদের দুয়ারে ডিলারেরা পৌঁছে যাচ্ছেন। এখনও নিখরচায় গ্রাহকদের রেশনে চাল, আটার প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা, বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত পরিবার, অগ্রাধিকার প্রাপ্ত পরিবার এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ১ ও ২, এই পাঁচ ধরনের কার্ড রয়েছে। রেশন কার্ড অনুযায়ী, পরিবার বা মাথাপিছু খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হয়। রেশনের আটার প্যাকেট নিয়ে জেলা জুড়ে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, আটার প্যাকেটের মান ভাল না থাকায় গ্রাহকেরা বাজারে বিক্রি করে দেন। ফড়েরা সে প্যাকেট সস্তা দরে কিনে মিল মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। মিল মালিকদের হাত ঘুরে সে প্যাকেট ফের রেশনের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছয়। তাই রেশন দোকানের বাইরে ভিড় জমান ফড়েরা।

তবে এ দিন হবিবপুরের আইহো পঞ্চায়েতে উপর কেন্দুয়া গ্রামে দুয়ারে রেশনে খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা বিলির ঘটনা নজিরবিহীন বলে অভিযোগ। এক গ্রাহক দেবী মুর্মু বলেন, “রেশনের আটা তিতকুট স্বাদের হয়। সে আটা বাড়ির গবাদি পশুকে খাওয়াতে হয়। অনেকে আবার ২০ টাকা দামে বিক্রি করে দেন। তবে আমাদের গ্রামে রেশনের দোকানদার আটা না দিয়ে প্যাকেটপিছু ১৮ টাকা করে দিয়ে দিচ্ছেন।” যদিও প্রকাশ্যে রেশনের খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি রেশন দোকানের কর্মীরা। রেশন ডিলার নিলয় মোহান্ত বলেন, “অসুস্থতার কারণে কর্মীদের দিয়ে উপর কেন্দুয়ায় খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছিলাম। তাই খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা বিলির বিষয়ে জানা নেই।” খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বিডিও সুপ্রতীক সাহাও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Habibpur Duare sarkar Ration Dealer

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy