শিলিগুড়িতে এসে মেয়রের সঙ্গে ঋদ্ধিমান।—ফাইল চিত্র।
ধোনি ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন। ফলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে তাঁর টেস্ট দলে জায়গা এখন পাকা। কারণ তিনিই এই মুহূর্তে দেশের সেরা উইকেট রক্ষক। কিন্তু তিনি নিজে ঋদ্ধিমান সাহা অবশ্য তা ভাবছেন না। নিজেকে টেস্টে ‘অটোমেটিক চয়েস’ বলেও মনে করতে চান না তিনি।
কয়েকদিন আগেই অবসর কাটাতে শিলিগুড়িতে শক্তিগড়ে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন ঘরের ছেলে পাপালি। তার মাঝেই ঘুরে যান, আশ্রমপাড়ার অগ্রগামী সঙ্ঘে। তাঁর ক্রিকেট শিক্ষার আঁতুরঘর যে সেটাই। ওখানেই চায়ের আড্ডায় নিজের মনোভাব জানালেন জাতীয় দলের এই তারকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানটি। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘‘জাতীয় দলে এখন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাই টিকে থাকতে হলে পারফরম্যান্স করতে হবে। এটাই আসল।’’ এমনকী আইপিএলের তাঁর পুরোনো দল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস-এর সাসপেনশনের ফলে আইপিএলে দল কমে যাওয়াতে সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে বলেই মনে করছেন তিনি। তবে নিজে চেন্নাইয়ে খেলার সময়ে গড়াপেটা জাতীয় কোনও কিছু বুঝতে পারেননি তিনি বলেও জানান।
দেশের সেরা উইকেটরক্ষক হলেও বারবার তাঁকে টেস্ট উইকেটরক্ষকের তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে কেন? ২০১৪ সালের আইপিএল ফাইনালে তাঁর জেট গতির সেঞ্চুরির পরেও তাঁর ওয়ানডে দলে জায়গা হয়নি। তা নিয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি তিনি। চলতি জিম্বাবোয়ে সফরে অম্বাতি রায়াডুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি চোট পেলেও তার জায়গায় সঞ্জু স্যামসনের কথা ভাবা হলেও তাঁর নাম বিবেচনা করা হয়নি। এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এটা নির্বাচকদের ব্যপার। আমার কাজ খেলে যাওয়া। এমনকী টেস্ট দলেও নিজেকে অপরিহার্য ভাবতে রাজি নন ঋদ্ধি। বরং ‘‘ভারতের শেষ টেস্টে আমি খেলেছি, এরপরে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য তৈরি হচ্ছি, এভাবেই ভাবতে চাইছি আমি’’, জানিয়ে দিলেন ঋদ্ধিমান।
আপাতত কলকাতা ফিরে পুরোদস্তুর অনুশীলনে মন দেবেন। অপরিহার্য স্বীকার করতে না চাইলেও দেশের সেরা ‘কিপার’-কে বাইরে রেখে দল গড়ার সাহস হয়ত পাবেন না নির্বাচকরা। তাই নিজেকে তৈরি রাখার কোনও সুযোগ ছাড়তে চান না তিনি। ঋদ্ধি এমনই বলে জানালেন তাঁর প্রথম কোচ তথা প্রাক্তন খেলোয়াড় জয়ন্ত ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে দেশে-বিদেশে খেলা থাকলে সব সময় যোগাযোগ রাখে, পরামর্শ নেয়। তবে খেলার বাইরে ওঁর অন্য কোনও দিকে বিশেষ উৎসাহ নেই। বিতর্কও পছন্দ করে না। এসব থেকে দূরে থাকাই তাঁর পছন্দ।’’
বিতর্ক অপছন্দ হলেও আইপিএলের পুরোনো দল সহ দুটি দলের সাসপেন্ড হওয়ার বিষয়টি তাঁর মনকে নাড়া দিয়েছে। এত তবে নিজে চেন্নাই দলে খেললেও ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ভিতরে কী চলছে বলেও জানালেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে কেউ কোনও অন্যায় প্রস্তাব নিয়ে আসেনি। আমি যতদিন চেন্নাইতে খেলেছি এমন কিছু নজরেও আসেনি বা বুঝতে পারিনি।’’
পুরোনো ক্লাবে এসে খোঁজখবর নেন কেমন চলছে সব। কয়েক বছর আগেও বাংলা দলে খেলার পাশাপাশি অগ্রগামী ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন শিলিগুড়ি লিগেও। শেষ কয়েকবছরে জাতীয় দল, আইপএল সামলে আর খেলা হয়ে ওঠে না। তবে সুযোগ পেলেই খেলতে চান বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy