গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
‘সেক্স টয়’ কিনতে গিয়ে প্রতারনার জালে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। বিদেশ থেকে ওই বিশেষ ধরনের আনানোর জন্য তাঁর থেকে দফায় দফায় ৩৭ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার গ্রেফতার একটি ড্যান্স বারের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজগঞ্জ থানার অন্তর্গত বেলাকপবা এলাকার বাসিন্দা ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালে শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটের একটি দোকানে একটি সেক্স টয় কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। দোকানদার তাঁকে জানান, পুতুলটি বিদেশ থেকে আনাতে হবে। আর সেই জন্য তাঁকে অগ্রিম এক লক্ষ টাকাও দিতে হবে। তিনি রাজিও হয়ে যান।
এর পরই শুরু হয় প্রতারনার ফাঁদ পাতার কাজ। শিক্ষককে জানানো হয়, পুতুলটি তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় ডেলিভারি বয়কে ধরে ফেলে পুলিশ। জেরার মুখে পুলিশের কাছে তাঁর (শিক্ষকের) নামও বলে ফেলেছেন ওই ব্যক্তি। এই ভাবেই দফায় দফায় ৩৭ লক্ষ টাকা আদায় করা হয় তাঁর থেকে।
টাকা দিতে দিতে তাঁকে জমি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয় বলে অভিযোগ ওই শিক্ষকে। এর পর বাধ্য হয়েই রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।
ঘটনায় জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘একটি বিশেষ ধরনের পুতুল কিনতে গিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে ৩৭ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পবন দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
যদিও সমস্ত অভিযোগই খারিজ করেছেন পবন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানি না। আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy