শিলিগুড়ির দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে রিচা ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
খেলার মাঠে কখনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, কখনও জলসা, কখনও মেলার আয়োজন। অভিযোগ, তাতে খেলার মাঠ আর খেলার উপযুক্ত থাকছে না। তাতে সমস্যায় পড়ছেন খেলোয়াড়েরা। যেমন, অনুশীলনের জন্য উপযুক্ত মাঠের অভাব বোধ করছেন ভারতের মহিলা দলের ক্রিকেটার রিচা ঘোষ। শিলিগুড়ির মাঠগুলিকে যে ভাবে ‘ব্যবসায়িক’ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে দুঃখ প্রকাশ করছেন রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। শহরের খেলার মাঠগুলি কেন খেলার গুরুত্ব হারাচ্ছে, সে প্রশ্ন উঠছে।
মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে খেলার মাঠের সমস্যা নতুন নয়। মেয়ে প্রায় সাত মাস পরে বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু এখানে অনুশীলনের জন্য মাঠ পাচ্ছে না। হয়তো অল্প কিছু দিনের মধ্যেই কলকাতায় ফিরে যাবে।’’
মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৯ টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার পরে, গত ২২ মার্চ ঘরে ফিরেছিলেন রিচা। মাঝে বড়দের টি২০ বিশ্বকাপ, মহিলাদের আইপিএল-এ বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন তিনি। ঘরে ফেরার দিনই শিলিগুড়ির ক্রীড়া পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রিচা। সঙ্গে মেয়েদের ক্রিকেটে আগ্রহ যে এই শহরের বেড়েছে, তার প্রশংসাও করেন তিনি। তবে বিষয় হল, বাড়িতে যত দিন থাকবেন, অনুশীলন জরুরি। তার জন্য শহরে কোথাও তেমন কোনও ভাল মাঠ পাচ্ছিলেন না বলে দাবি। শেষে গত কয়েক দিন থেকে শহরের দাদাভাই স্পোটিং ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করছেন রিচা। রবিবার দাদাভাই ক্লাবের তরফে রিচাকে এবং তাঁর মা-বাবাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ক্লাব সম্পাদক বাবুল পাল চৌধুরী বলেন, ‘‘খেলার মাঠে কখনই জলসা বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হওয়া ঠিক নয়। যত সমস্যাই থাক, তাই মাঠটাকে আমরা রক্ষা করছি।’’ ক্রিকেট কোচ জয়ন্ত ভৌমিকের বক্তব্য, ‘‘আন্তর্জাতিক মানের এক জন খেলোয়াড় মাঠের অভাবে প্রশিক্ষণে সমস্যায় পড়ছেন, এটা লজ্জার!’’ শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘আমাদের জানালে, রিচার প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিতাম।’’
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হয় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে। সভার পরে মাঠের বেহাল দশা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। খেলার উপযুক্ত করে তোলার আশ্বাস দেওয়া হলেও পুরো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরে একটি বড় গানের জলসার পরে, ফের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এ দিন স্টেডিয়ামের মাঠ থেকে চেয়ার এবং অন্য আবর্জনা সরানো হয়েছে। তবে এ মাসে সেখানে আরও একটি জলসা হওয়ার কথা। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy