ছবি: সংগৃহীত।
খুব একটা বেশি সংখ্যায় না হলেও ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধানও মিলতে শুরু করেছে আলিপুরদুয়ারে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ বছর আলিপুরদুয়ারে এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত ন’জনের সন্ধান মিলেছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, পাশের জেলা কোচবিহারে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায়, আলিপুরদুয়ারেও তা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কোচবিহার লাগোয়া এলাকায় বাড়তি নজর দিতে দফতরের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্যকর্তারা।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, বর্ষায় স্ক্রাব টাইফাস রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। মূলত, মাইট নামে একটি পোকার কামড় থেকে এই রোগ ছড়ায়। যে পোকাগুলি সাধারণত ঝোপঝাড়ে দেখা যায়। আগে আলিপুরদুয়ারে স্ক্রাব টাইফাস রোগ চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিলনা। তাই কেউ আক্রান্ত হলেও তাকে চিহ্নিত করার উপায় ছিল না। ২০১৬ থেকে জেলাতেই এই পরীক্ষা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার জেলায় যে ন’জন স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন ফালাকাটার। বাকিরা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে জেলায় সচেতনতামূলকত প্রচার চলছে। কিন্তু সম্প্রতি পাশের জেলায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত কিছু রোগীর সন্ধান মিলেছে। তাই আমাদের জেলায় এই রোগ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা থেকেই যায়। সেজন্যই ওই জেলা লাগোয়া এলাকাগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। কারও মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই স্থানীয় হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। কারণ সঠিক সময় ওষুধ খেলেই এই রোগ নিরাময় হয়ে যায়।”
শনিবার ডুয়ার্সকন্যায় স্ক্রাব টাইফাসের পাশাপাশি ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে বৈঠক হয়। জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের পাশাপাশি জেডিএ চেয়ারম্যাম গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর ও ফালাকাটা পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ মুহুরি ছিলেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ডেঙ্গি রোধে জমা জল নষ্ট করতে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে জয়গাঁ, আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটা শহরে অভিযান হবে। সপ্তাহের বাকি দিন নজরদারি চলবে। জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা বলেন, “জেলায় ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে প্রশাসন সতর্ক। আগাম সতর্কতায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy