Advertisement
E-Paper

সংস্পর্শে কারা, খোঁজে হিমশিম

অভিযোগ, লালারস পরীক্ষার পরে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকার কথা থাকলেও শরীরে কোনও উপসর্গ না থাকায় কেউ গিয়েছিলেন আত্মীয়ের বাড়ি, কেউ পাড়ায় ঘুরে বেরিয়েছেন, কেউ গ্রামের পড়শিদের সঙ্গে গল্পেও মেতেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০৭:২৬
জান কবুল: রাজস্থান থেকে ট্রাকে করে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান হেমতাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু তার পরেও জীবন বাজি রেখে চলছেই ট্রাকে করে ফেরা। রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে। ছবি: চিরঞ্জীব দাস

জান কবুল: রাজস্থান থেকে ট্রাকে করে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান হেমতাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু তার পরেও জীবন বাজি রেখে চলছেই ট্রাকে করে ফেরা। রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে। ছবি: চিরঞ্জীব দাস

১২ মে-র ঘটনা। কেউ বাস ভাড়া করে ফিরেছেন মধ্যপ্রদেশ থেকে, কেউ ওড়িশা থেকে বাসে, কেউ ট্রাকে মহারাষ্ট্র থেকে। মালদহের গৌড়কন্যা বাস টার্মিনাসে ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ ও লালারস পরীক্ষার পরে স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ মতো তাঁদের বেশির ভাগই সে দিন থেকে ছিলেন 'হোম কোয়রান্টিনে'। কয়েক জন সরকারি কোয়রান্টিনেও ছিলেন। কিন্তু ভিন্‌ রাজ্য থেকে সে দিন জেলায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে নতুন করে সাত জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে শুক্রবার। আর ওই করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা এসেছেন, সেই তালিকা তৈরি করতে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। শনিবার বিকেল পর্যন্তও খোঁজ জারি ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক এক জন ৪০-৫০ জনের সংস্পর্শে এসেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে খবর মিলেছে।

অভিযোগ, লালারস পরীক্ষার পরে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকার কথা থাকলেও শরীরে কোনও উপসর্গ না থাকায় কেউ গিয়েছিলেন আত্মীয়ের বাড়ি, কেউ পাড়ায় ঘুরে বেরিয়েছেন, কেউ গ্রামের পড়শিদের সঙ্গে গল্পেও মেতেছিলেন। আর তাই আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা লোকজনের খোঁজ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ভাবে এখনও 'কন্টেনমেন্ট জ়োন’ ঘোষণা করা না হলেও আক্রান্তদের গ্রামগুলি সিল করা হয়েছে। আক্রান্তদের বাড়ির লোকজন যেন ১৪ দিন বাইরে বের না হন, তা স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ দিন বিকেলে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘আক্রান্ত সাত জন ঠিক কত জনের সংস্পর্শে এসেছিলেন সেই খোঁজ এখনও চলছে।’’

এ দিনও বাসে, ট্রাকে কয়েকশো শ্রমিক ফেরেন টার্মিনাসে। কিন্তু মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লালারসের নমুনার 'ব্যাকলগ' থাকায় শুক্রবারের মতো এদিনও সেখানে লালারস সংগ্রহ হয়নি বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। শুধু স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তাঁদের সরকারি কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, "ভিন্‌ রাজ্য থেকে যে সমস্ত শ্রমিক ফিরছেন তাঁদের এখন সরকারি কোয়রান্টিনে রাখছি। তবে যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে।"

মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত ৮৮৫ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, তার মধ্যে সাত জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। সেখানে শনিবার রাত পর্যন্ত মোট ৫৩২২ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে মালদহ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন।

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy