বেহাল: মাত্র বছর পাঁচেক আগে পড়ুয়াদের জন্য তৈরি হয় এই শৌচাগার। কিন্তু এখন তা ব্যবহারের অযোগ্য। ছবি: অমিত মোহান্ত
বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। প্রথমে দু’ঘণ্টার বাস যাত্রা। তারপর বাকি ১৩ কিলোমিটার কাঁচাপাকা রাস্তাটুকু স্কুটি চালিয়ে তবেই স্কুলের দরজায় পৌঁছতে হয় রাজেশ্বরী সিংহরায়কে। বর্ষা জুড়ে কাদা জমে থাকে ওই রাস্তায়। সেই বেহাল রাস্তা ভেঙে স্কুলে তো পৌঁছনো গেল। কিন্তু এর পরেও স্কুলে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার পান না বালুরঘাট শহরের বাসিন্দা রাজেশ্বরী। দ্বিতীয় কোনও উপায়ও নেই তাঁর সামনে। এভাবেই প্রতিদিন সমস্যার মধ্যেই স্কুলে যাচ্ছেন তিনি।
রাজেশ্বরী কুশমণ্ডির ঢাকঢোল উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ান। কুশমণ্ডি বাসস্ট্যান্ড থেকে আরও ১৩ কিমি গ্রামের রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। সেই রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে সম্প্রতি স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একহাঁটু জলকাদা ভর্তি এই রাস্তাতেই ধানের চারা রোপণ করে তাঁরা বিক্ষোভ করেছিলেন। রাজেশ্বরী জানান, বালুরঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় রওনা দিলে সাড়ে ১০টায় কুশমণ্ডিতে পৌঁছন। কুশমণ্ডিতে একটি ভাড়াবাড়িতে স্কুটি রাখেন। সেটা নিয়ে স্কুলে যান। মাঝেমধ্যে রাস্তায় স্কুটি বিকল হলে আবার বাড়তি ঝক্কি। পড়িমরি করে স্কুলে গিয়েও নিস্তার নেই। স্কুলে শিক্ষিকাদের শৌচালয়ের অবস্থা স্বাস্থ্যকর নয়। বাধ্য হয়েই সেটি ব্যবহার করতে হয় বলে অভিযোগ। প্রতিদিন এইভাবে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রবল ক্লান্ত হয়ে পড়েন তিনি। এ জন্য সম্প্রতি গঙ্গারামপুরে বাড়ি করে সেখানে থেকে যাতায়াত করছেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে ছোট্ট বাচ্চাকে রেখে এতটা পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
তাঁর কথায়, ‘‘সিজ়ারিয়ান পদ্ধতিতে বাচ্চার জন্ম দেওয়ায় বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। বাধ্য হয়েই স্কুটি চালিয়ে যেতে হয়। তারপরে স্কুলের শৌচালয়ও খুব স্বাস্থ্যকর নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy