সুশান্তর পিসি। নিজস্ব চিত্র।
এখনও দু’চোখের পাতা এক করতে পারছি না। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠছে দু’টি ঘটনা। এক সংবাদ মাধ্যমে দেখা সোমবারের সেই ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি মেয়েকে ছুরি হাতে কোপানো হচ্ছে। সেই ছেলেটি নাকি আমার ভাইপো। এই ভাইপোকে আড়াই বছর বয়স থেকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি।
চোখের সামনে সুশান্ত বড় হয়েছে। আমাদের বাড়ির উল্টো দিকেই ইংরেজবাজার শহরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সে সুশান্তর বান্ধবী সুতপা থাকত। তাকেও ছোট থেকেই দেখেছি। সেই মেয়ে এখন আর নেই। আর ফিরেও আসবে না। আর সুশান্ত থেকেও নেই। সে এখন বহরমপুরের পুলিশের হেফাজতে আছে। আর ওর সঙ্গে দেখা হবে কিনা জানি না। দেখা হলে অবশ্যই জানতে চাইব কেন সে এমন কাণ্ড করল।
ছোট থেকেই খুব শান্ত স্বভাবের ছিল সুশান্ত। কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি। পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল। বাবা, পিসেমশাইয়ের মতো পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখত। পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াত। দু’বছর ধরে আমার বাড়িতে থাকত না। তখনই জানাজানি হয় সুতপার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। এলাকার সবাই দু’জনকে একসঙ্গে দেখেছে। দু’জনের মধ্যে খুব ভাব ছিল। সেই মেয়েকে সে খুন করে নিজের ভবিষ্যৎ শেষ করবে তা ভাবতেই পারছি না। যদি আগে জানতাম আমার কাছ থেকে নিজের বাড়িতে গিয়ে বদলে যাবে, তাহলে সুশান্তকে পাঠাতাম না। আর এমন পরিণতিও হত না।
অভিযুক্তের পিসি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy