প্রতীকী ছবি।
তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও শনিবার জলপাইগুড়ি জেলায় যাঁরা প্রতিষেধক নেননি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তারা। আজ, সোমবার তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে দফতর থেকে জানানো হয়েছে। নতুন তালিকায় তালিকায় রবিবার ১২০ জনের নাম তালিকাভুক্ত করছে দফতর। ২০ শতাংশ ব্যক্তি না নিলেও ১০০ জনকেই যাতে প্রতিষেধক দেওয়া যায়, তার প্রস্তুতি চলছে বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের। সূত্রের খবর, এমনটাই নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
কোনও ভাবেই যাতে এক ফোঁটাও প্রতিষেধক নষ্ট না হয়, সেদিকে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ০.৫ মিলিলিটার করে প্রতিষেধক উপভোক্তাদের শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভায়ালেই ১০ জনকে প্রতিষেধক দেওয়ার পরও কিছুটা উদ্বৃত্ত থাকছে। তা থেকেও বাড়তি উপভোক্তাদের দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বাড়তি প্রতিষেধক আরও প্রায় ৮০০ জনকে টিকা দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
জেলার পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে শনিবার ময়নাগুড়িতে ৭৫ জনকে প্রতিষেধক দেওয়া গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, ময়নাগুড়িতে উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্তির আগেই টিকা নিতে ইচ্ছুকদেরই নাম নথিভুক্ত করেছেন। তবে এমনটা করা খুব কঠিন বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের। শনিবার জেলার পাঁচটি কেন্দ্রেই কো-উইন অ্যাপ বিকল থাকায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাজ করতে হয়েছিল। রবিবারও দুপুর পর্যন্ত অ্যাপ কাজ না করায় বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে উপভোক্তাদের মোবাইলে টিকার এসএমএস পাঠানো হয়েছে। এই ক্ষেত্রে এসএমএস-পিছু দু’টাকা খরচ হয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর। এ দিন দুপুরের পর থেকে অ্যাপ কাজ করছে বলে দফতরের আধিকারিকেরা জানান।
শনিবার জলপাইগুড়ি জেলার কেন্দ্রগুলিতে প্রতিষেধক নিতে কোনও জনপ্রতিনিধি আসেননি বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি। আজ যদি কোনও জনপ্রতিনিধি টিকা নিতে আসেন, তাহলে তাঁকে এই মুহূর্তে টিকা না নেওয়ার অনুরোধ জানানো হবে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক জানান। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ মেনেই টিকার কাজ হচ্ছে। সোমবারের তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সকলকেই যাতে টিকা দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy