দার্জিলিং জেলার কিছু অংশে বরফ পড়া শুরু হয়েছে। দার্জিলিং শহরে কবে? — নিজস্ব চিত্র।
সান্দাকফুতে বরফ পড়া শুরু হয়েছে কয়েক দিন হল। এ বার দার্জিলিং শহরও সাদা চাদরের আস্তরণে ঢাকা পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাহাড়ের তাপমাত্রা আচমকাই কমে গিয়েছে বেশ খানিকটা। শিলাবৃষ্টিও শুরু হয়েছে দার্জিলিং-সিকিম সীমানার ধারেপাশে। পাহাড়ের লোকজনের মধ্যে তা দেখে গুঞ্জন, রাত পোহালেই বরফ দেখা যেতে পারে।
এ বছর শীত পড়তে না পড়তেই পাহাড়ের রানি দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা কমছিল। পাল্লা দিয়ে পারদ নামছিল সান্দাকফুতে। গত ৬ ডিসেম্বর দুপুরের পর সান্দাকফুতে শিলাবৃষ্টি হয়। ৭ ডিসেম্বর সান্দাকফু মরসুমের প্রথম তুষারপাত দেখে। বাংলার সেই বরফ দেখতে ভিড় করেন পর্যটকেরা। বুধবার থেকে আচমকাই পারদ পতন হয় পাহাড়ে। বুধবার তাপমাত্রা কমে গিয়ে শিলাবৃষ্টি হয় সুখিয়া-সীমানা অঞ্চলে। যা মিরিক থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উপরে। বরফ পড়ে সিঙ্গলিলায়।
এ দিকে, এক ধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দার্জিলিং পাহাড়েও। কালিম্পঙেও ইতিমধ্যেই তাপমাত্রার বেশ খানিকটা পতন হয়েছে। পাশাপাশি, বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিও হচ্ছে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায়। দার্জিলিং ও কালিম্পঙে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বুধবারই দার্জিলিঙের উঁচু জায়গাগুলিতে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে শহর দার্জিলিঙেও মরসুমের প্রথম তুষারপাত হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আপাতত পাহাড়ে ঠান্ডা বজায় থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা আর বৃদ্ধি পাবে না। স্বাভাবিকের নীচেই থাকবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। সিকিমের পেলিং-সহ লাচুংয়ে বুধবার ভোর থেকেই চলছে তুষারপাত। রাত পোহাতেই সিকিমের সীমানা পেরিয়ে বাংলাতেও তুষারপাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং শহরের প্রবীণরা কিন্তু যথেষ্টই আশাবাদী। পরিস্থিতি ক্রমশ তুষারপাতের অনুকূল হয়ে উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy