E-Paper

আচমকাই ‘বন্ধ’ চা বাগান, উদ্বিগ্ন শ্রমিকেরা

অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার সকালে চা বাগানে কাজে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন বানারহাটের দেবপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা। এরই মধ্যে খবর আসে, চা বাগান পরিচালন আধিকারিকরা বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫০
দেবপাড়া চা বাগান।

দেবপাড়া চা বাগান। —নিজস্ব চিত্র।

বিনা নোটিসে চা বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছেন কর্তৃপক্ষ— এমনই অভিযোগ বাগানের কর্মী, শ্রমিকদের। যদিও চা বাগানের পরিচালন আধিকারিকদের দাবি, বাগান বন্ধ করা হয়নি বা সেই সংক্রান্ত কোনও নোটিসও জারি করা হয়নি।

অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার সকালে চা বাগানে কাজে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন বানারহাটের দেবপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা। এরই মধ্যে খবর আসে, চা বাগান পরিচালন আধিকারিকরা বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছেন। তার জেরে চিন্তায় পড়েন শ্রমিকরা। এর আগেও গত বছর মার্চ মাস থেকে তিন মাসের জন্য ওই বাগান বন্ধ হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সমস্যায় ধুঁকছে দেবপাড়া চা বাগান। অভিযোগ, শ্রমিকদের পাঁচ সপ্তাহের পারিশ্রমিক বকেয়া। পাশাপাশি স্টাফ এবং সাব-স্টাফদের দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। বকেয়া টাকার দাবিতে এর আগে জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে থানা ঘেরাও-ও করেছিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা।

জানা গিয়েছে, সোমবার শ্রমিকদের কিছু বকেয়া টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠানোর কথা ছিল চা বাগান কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, কিন্তু কোনও টাকা পাননি শ্রমিকরা। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, গোলমালের আশঙ্কায় চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যান।

চা বাগানের এক শ্রমিক বলেন, ‘‘খালি পেটে কি আর কাজ হয়। আমাদের অনেকের টাকা বাকি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বকেয়া টাকা দেওয়া হচ্ছে না, উল্টে বাগান ছেড়ে পালিয়ে গেলেন কর্তৃপক্ষ। আমরা আমাদের বকেয়া টাকার পাশাপাশি দ্রুত বাগান খুলুক এটাই চাই।’’

চা বাগানের আধিকারিক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বকেয়া টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সেটা সময়মতো দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে আমরা চলে এসেছি। কারণ তা নিয়ে একটা গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আমরা সংস্থাকে বলেছি, শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে। এরপর আমরা ফের বাগানে গিয়ে কাজকর্ম শুরু করব।’’

অন্য দিকে, নানা জটিলতার পরে অবশেষে খুলতে চলেছে মেখলিগঞ্জ ব্লকের বংশীধাম চা বাগান। শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি থেকে খুলতে চলেছে পাঁচ মাইল সংলগ্ন ওই বাগানটি। মজুরি ও নানা অসন্তোষ নিয়ে ক্ষোভ ছিল শ্রমিকদের মধ্যে।

মালিকপক্ষের দাবি ছিল, শ্রমিকরা ঠিক মতো কাজ করেন না।‌ মেখলিগঞ্জের অ্যাসিস্টান্ট লেবার কমিশনার প্রভাত লামা বলেন, ‘‘মালিক, শ্রমিক দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানসূত্র মেলে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tea Garden

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy