চালু থাকা বাগানের চা গাছে এক আদিবাসী মহিলা শ্রমিকের হাত বাঁধা, গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে শনিবার হইচই হল উত্তর দিনাজপুরে। মহিলার অবিন্যস্ত পোশাক দেখে তাঁর পরিবার ও স্থানীয়দের সন্দেহ, খুনের আগে ধর্ষণও করা হয়ে থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ-জেলার সুপার জবি টমাস বলেন, “মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ মিলেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে কী ভাবে খুন করা হয়েছে, আদৌ ধর্ষণ করা হয়েছে কি না। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” চা বাগান কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মন্তব্য করেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মহিলার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। ওই চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা বাগানের আবাসনে ছেলে এবং মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি নাবালিকা মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। এ দিন সকালে চা বাগানে মহিলার দেহ দেখতে পান বাগানের অন্য শ্রমিকেরা। খবর যায় পুলিশে।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে তাঁর দেহ জেলার আর একটি হাসপাতালে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়।
নিহতের ছেলে বলেন, “মা-বোন রাতে ফেরেনি। এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিল। রাতে ওদের খোঁজ নিয়েছিলাম। সকালে শুনতে পাই, মায়ের দেহ পড়ে রয়েছে বাগানে।” নাবালিকা মেয়েটিকে বাড়িতে ফেরানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে ওই আত্মীয়ের বাড়িতে ঠিক কী হয়েছিল জানতে, তার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। শনিবার রাতে ওই আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়।
আদিবাসীদের একটি সংগঠনের এক জেলা স্তরের নেতা বলেন, “তদন্তে পুলিশ কী তথ্য পায়, তার উপরে আমরা নজর রাখছি।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)