বিজেপি-কে ধরাশায়ী করে মালদহের বামনগোলায় ব্লকের পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল। শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে ১৫-৯ ব্যবধানে বিজেপি-র হাত থেকে পাকুয়াহাট পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেয় শাসকদল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ারেই এই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা— এমন দাবি তৃণমূলের। তবে বিজেপি-র অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে ও ভুয়ো মামলা করে তাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের দলে টেনেছে তৃণমূল।
এককালে বামফ্রন্টের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল মালদহের বামনগোলা ব্লক। তবে এলাকায় সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে পাকুয়াহাট পঞ্চায়েতের দখল নেয় বিজেপি। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এই পঞ্চায়েতেও পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করে।
আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লকের পাকুয়াহাট পঞ্চায়েতের আসনসংখ্যা ২৪। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪টি আসন পেয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। তৃণমূল পেয়েছিল ন’টি আসন এবং বামফ্রন্টের হাতে এসেছিল একটি আসন। চলতি মাসে পঞ্চায়েতের পাঁচ বিজেপি এবং এক সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। এর পর সপ্তাহ দুয়েক আগে পঞ্চায়েত অনাস্থার প্রস্তাব পেশ করে তৃণমূল। শুক্রবার তার ভোটাভুটি ছিল। তাতে শাসকদলের বড়সড় জয়ের পর নতুন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান হয়েছেন যথাক্রমে সুশীল মণ্ডল এবং মাইনু মার্ডি।