ধূপগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজাতা দে সরকার (চিহ্নিত)। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার উপর চেয়ার পেতে যানবাহনের পথ আটকে চাঁদা তুলছেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর। থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে ধূপগুড়ি শহরে এ ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকার আর্থিক অনুদান দিলেও কেন চাঁদা নেওয়া হচ্ছে? এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও চাঁদা তোলার বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন বলে দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ধ্যা হতেই পাড়ার মহিলাদের নিয়ে রাস্তায় চেয়ার পেতে চাঁদা তুলছেন ধূপগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজাতা দে সরকার। ধূপগুড়ি থানার অদূরেই চাঁদা তোলা চলছে বলে দাবি তাঁদের। এ নিয়ে পুলিশ কেন নীরব, সে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। তবে কি শাসকদলের কাউন্সিলর বলেই দেখেও না দেখার ভান করছে পুলিশ? স্থানীয় এক বাসিন্দা নির্মাল্য ভট্টাচার্য বলেন, “এ তো জুলুমবাজি! রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দিচ্ছে। তার পরও সাধারণ মানুষের থেকে এ ভাবে টাকা তোলার কোনও মানে আছে কি! ফূর্তি করার জন্যই টাকা তোলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা এমনিতেই খারাপ। তার পর চাঁদার জন্য চাপ দেওয়া হলে আর কী বলার আছে।’’
প্রসঙ্গত, চলতি বছর প্রায় প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য। তা সত্ত্বেও কেন চাঁদা তোলা হচ্ছে? তা নিয়েও প্রশ্ন অনেকের। যদিও ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল জেলা সম্পাদক রাজেশকুমার সিংহ বলেন, “এ বার ধূপগুড়িতে ৪১টি দুর্গাপুজো হচ্ছে। প্রত্যেক কমিটিই যাতে অনুদান পায়, সে জন্য পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে জানিয়েছি। ধূপগুড়ি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুজোও টাকা পেয়েছিল।” তবে কেন রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছে? রাজেশকুমারের জবাব, ‘‘আমার কাছে এখনও এ রকম কোনও খবর আসেনি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy