আচমকা নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। দিনহাটায় উপনির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর। তার আগে বুধবার বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল নেতার সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলে থাকাকালীন গিরীন্দ্রের সতীর্থ ছিলেন মিহির। দু’জনেরই দাবি, এই সাক্ষাৎ ‘সৌজন্যমূলক’।
বুধবার বিকালে কোচবিহার শহরের তেঁতুলতলা এলাকায় মিহিরের বাড়িতে যান গিরীন্দ্রনাথ। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি আদতে মাথাভাঙার বাসিন্দা। তবে প্রতি দিনই তিনি যান কোচবিহার শহরের পাটাকুড়ায় অবস্থিত তৃণমূলের দলীয় দফতরে। মিহিরের দাবি, বুধবার তিনি কলকাতা থেকে ফিরেছেন। এই সময়েই তাঁকে ফোন করে সাক্ষাৎ করার সময় চেয়ে নেন গিরীন্দ্রনাথ। মিহির কলকাতা থেকে ফেরার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন গিরীন্দ্রনাথ। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ রুদ্ধদ্বার আলোচনাও চলে।
দিনহাটায় উপনির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি রাজ্যের দুই যুযুধান শিবিরের দুই নেতার হঠাৎ সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ঠিক যে জল্পনা শুরু হয়েছে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া সব্যসাচী দত্তের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে। লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যু নিয়ে বুধবার সব্যসাচী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘কার গাড়ি সেটা বড় কথা নয়, যে ঘটনা ভাইরাল হয়েছে টিভিতে তা খুব দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক ঘটনা। যে বা যারা এটা করে থাকুক তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি এবং তাদের একটাই শাস্তি হওয়া উচিত ফাঁসি।’’ সব্যসাচী বর্তমানে বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক পদে। আবার খড়দহ উপনির্বাচনের জন্য তৈরি কমিটিতে ইনচার্জ হিসাবেও দায়িত্বে তিনি। সেই সব্যসাচীর এ হেন মন্তব্যের পিছনে নতুন সমীকরণ দেখছেন অনেকেই। এই আবহে মিহির এবং গিরীন্দ্রের সাক্ষাৎ নিয়েও একই রকম ভাবে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে মিহিরের মন্তব্য, ‘‘গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের সঙ্গে আমার বহু দিনের সম্পর্ক। বহু বছর উনি আমার সহকর্মী ছিলেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে সামাজিকতা। উনি হঠাৎ করে ফোন করে বললেন, ‘আজ মাতৃপক্ষের সূচনা। আমি আপনার ওখানে যেতে চাই। শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’ আমিও বললাম, ‘আমার অবারিত দ্বার। তুমি যখন ইচ্ছা আসতে পার।’ গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ এসেছেন। আমি আপ্লুত।’’