—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের এক নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শনিবার মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান জিবু বিবির স্বামী মোস্তফা শেখকে খুনের অভিযোগ তুলে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে শাসক তৃণমূল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এই ঘটনায় আব্দুল মান্নান নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেটও বসানো হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন মোস্তফা। সেখানে ফেরার সময় মসজিদের কাছে একটি দোকানে তৃণমূলের পতাকা লাগানো নিয়ে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী আব্দুল, আসনাউল-সহ কয়েক জনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই বচসা চরমে উঠলে তাঁকে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মোস্তফা মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও মারধর চলতেই থাকে। পরে স্থানীয়েরা তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের ছেলে মহম্মদ শামিম আখতার বলেন, ‘‘বেশ কয়েক বার বাবার উপর হামলা করেছিল। পুলিশেও জানানো হয়েছিল। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পায়নি বলেই ওরা (অভিযুক্তেরা) কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল। বাবার প্রতি আক্রোশ ছিল। সেই কারণে এই খুন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তি চাই।’’
দলীয় নেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা। তিনি বলেন, ‘‘এই খুনের নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে। সুজাপুর পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান-সহ একাধিক সদস্যকে এ বার তৃণমূল টিকিট দেয়নি। তারা কংগ্রেসে যোগদান করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের পুরনো মাটি আর নেই। এখন তৃণমূলের রয়েছে। তাই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করার জন্য তৃণমূলের এক জন সক্রিয় কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হল প্রকাশ্যে। এলাকায় সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে চাইছে কংগ্রেস।’’
খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। তাদের, শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই ওই নেতা খুন হয়েছেন। মালদহ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কালীসাধন রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোল থেকে মালদহে লেগেই রয়েছে। এই ঘটনাই তার প্রমান। মৃত্যুর রাজনীতি কংগ্রেস করে না। এই ঘটনা দুঃখজনক। আমরা আতঙ্কিত। এমন ঘটনা ভোটের আগে আরও ঘটাবে তৃণমূল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy