নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে কথা বলছেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। ছবি: নিজস্ব চিত্র
বাগডোগরায় ভুজিয়াপানির বাসিন্দা ‘নির্যাতিতা’ মহিলাকে মারধরের ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। এরই মধ্যে বুধবার গ্রামে গিয়ে সেই মহিলার সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সমতলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। এ দিন পাপিয়ার কাছে মহিলা অভিযোগ করেন, সালিশি সভায় তাঁকে ‘বিবস্ত্র’ করে মারধর করা হয়েছিল। যদিও ঘটনার পরে, পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি সে কথা জানাননি। কেন জানাননি? নির্যাতিতার দাবি, ‘‘আমি অন্য এক জনকে দিয়ে সে দিন অভিযোগপত্রটি লিখিয়েছিলাম। তবে পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলাম যে, আমার জামকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশে এক জন আমাকে গামছা দিয়েছিলেন। তা দিয়েই লজ্জা রক্ষা করি।’’
তৃণমূল তাঁর পাশে থাকবে বলে এ দিন ‘নির্যাতিতাকে’ আশ্বাস দিয়েছেন পাপিয়া ঘোষ। দু’পক্ষের সঙ্গেই এ দিন তিনি কথা বলেন। পাপিয়া বলেন, ‘‘এই ঘটনাটি দু’টি পরিবারের মধ্যে হয়েছে। অনেক দিন ধরেই ঝামেলা হচ্ছে। এই ঘটনাকে বিজেপি রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছে। মণিপুরের ঘটনাকে লঘু করে দেখাতে তাঁরা এখন এ ধরনের ঘটনাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরই চার জনকে গ্রেফতার করেছে।” অন্য দিকে, ওই ‘নির্যাতিতাকে’ পাপিয়ার পরামর্শ, ‘‘কাউকে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে দেবেন না। আপনার পাশে রয়েছি আমরা।’’ যদিও ‘নির্যাতিতা’ বলেন, ‘‘থানায় অভিযোগ জানানোর পর থেকেই ভয়ে রয়েছি। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগছে।’’
অন্য দিকে, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক তথা জেলা বিজেপি সভাপতি আনন্দময় বর্মণ বলেন, “বিজেপি এ সব ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করে না। রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। বাগডোগরার ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আমি কলকাতায় রয়েছি। শহরে ফিরে মহিলার সঙ্গে দেখা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy