E-Paper

ষড়যন্ত্রের নালিশ মন্ত্রীর, ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য তৃণমূলে

মাসখানেক আগে হেমতাবাদে তৃণমূলপন্থী এক কলেজ শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ কেন্দ্র করে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।

গৌর আচার্য 

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৩৭
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

হেমতাবাদে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বুধবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণ তৃণমূলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ তুলে সরব হলেন। ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দলে অস্বস্তি বাড়ছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, “সত্যজিৎবাবু কী বলেছেন জানা নেই। তবে হেমতাবাদে দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।”

মাসখানেক আগে হেমতাবাদে তৃণমূলপন্থী এক কলেজ শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ কেন্দ্র করে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। ওই ঘটনার পরে কালেশ্বর বর্মণ নামে ওই শিক্ষক হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণের অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলেন। সত্যজিৎ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যক্তিগত কারণে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কারও গোলমাল হয়েছে বলে দাবি করেন। ওই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এ দিন অনুষ্ঠানে সত্যজিৎ দাবি করেন, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে হেমতাবাদের কিছু তৃণমূল নেতা তাঁকে হারানোর ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাঁকে প্রচারে বার না করিয়ে ১৮ দিন দলীয় কার্যালয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। মন্ত্রী বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ফের হেমতাবাদের কিছু জন নেতা আমার বিরুদ্ধে বলে বেড়াচ্ছেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন আমি সৎ মানুষ। আমি প্রতারণা ও বেইমানি করি না।” এর পরেই হেমতাবাদের দলীয় নেতাদের উদ্দেশে সত্যজিতের বার্তা, “আমি যদি বিধায়ক হয়ে আপনার পাশে থেকে থাকি ও কাজ করে থাকি তাহলে আমাকে ভোট দেবেন। যদি মনে হয় আমি বিধায়ক হয়ে আপনাদের সঙ্গে ছিলাম না, তাহলে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে আমাকে ভোট দেওয়ার কোনও দরকার নেই।” সত্যজিতের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হেমতাবাদ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি সাহজাহান আলির পাল্টা দাবি, “২০২১ সালে দলের যে সব নেতা সত্যজিৎবাবুকে জিতিয়েছিলেন, ভোটে জিতে তাঁদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন তিনি। এখন কয়েক জন ছাড়া হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে দলের পুরনো নেতা-নেত্রী ও কর্মীরা দলে মর্যাদা, গুরুত্ব ও পদ পাচ্ছেন না।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Hematabad

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy