প্রতীকী ছবি।
আজ, সোমবার শিলিগুড়ি পুরভোটের ফল ঘোষণা। তার ২৪ ঘন্টা আগে দলীয় বৈঠকে দলের প্রার্থীদের সর্তক করে দেওয়া হল।
ভোটের জেতার পর পাড়ার দাদা বা কেউকেটা হননি মনে রেখে মানুষের সেবা ও দলের পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হল। রবিবার দুপুরে শহরের গান্ধী চক লাগোয়া একটি হোটেলে গৌতম দেব, পাপিয়া ঘোষেরা ৪৭ জন প্রার্থী, ওয়ার্ড সভাপতি-সহ গুরুত্বপূর্ণ জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে ভোটে বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ভোটের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, শহরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছে।
বৈঠকে দলের তরফে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হওয়ার জন্য গৌতম দেবকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। গৌতম বলেছেন, ‘‘ভোটে অনেক কিছু হয়েছে। সব কিছুই রিপোর্ট আকারে দলনেত্রীর কাছে পাঠানো হবে। কাউন্সিলর যাঁরা হবেন তাঁদের মানুষের সেবার অঙ্গীকার নিয়েই চলতে হবে। দলের পুরনো কর্মীদের বরাবর মর্যাদা দিতে হবে।’’ এর পরেই তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘‘যাঁরা দলে বসে পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন তাঁদের ছাড়া হবে না। নেত্রীকে সব জানানো হবে। আর শহরের শান্তি চেহারা আমরা অনেক কষ্টে এনেছি। এটা নষ্ট করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, গণনা প্রক্রিয়ায় প্রার্থী, ওয়ার্ড সভাপতিদের নির্দেশ দিতেই বৈঠকটি ডাকা হয়েছিল। সেখানেই সম্ভাব্য কাউন্সিলরদের সর্তক করা হয়। কারণ নেতৃত্ব মনে করছেন, ভোটে জেতার পরেই কাউন্সিলরদের একাংশ পাড়ায় দলের ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠেন। নিজের মতো করে চলা এবং দল চালানো শুরু করে দেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের তাঁর উপরে নির্ভর করে থাকতে হয়। অনেক সময় ওয়ার্ড নেতৃত্বকে যোগ্য মর্যাদা না দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। সেই সঙ্গে শহরে অনৈতিক কাজের সঙ্গে কাউন্সিলরদের নাম জড়িয়ে যায় বলেও অভিযোগ। সেখানে দলীয় সংগঠনের স্বার্থে কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড-বুথ স্তরের নেতা-কর্মীদের প্রথম থেকে দলের তরফে আলাদা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কারণ, শিলিগুড়ি শহরে বারবার হারের মুখ দেখতে থাকায় নেতারাও এর বাইরে বার হতে চাইছেন। শুধু ভোটকেন্দ্রিক নয়, সারা বছর পাড়ায় দলকে সক্রিয় রাখার কথা বলছেন। বৈঠকে জেলার চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী, প্রাক্তন জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার, যুব সভাপতি কুন্তল রায়, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি নির্জল দে ও জেলার নেতা মদন ভট্টাচার্য ছিলেন।
জেলার সমতলের সভানেত্রী পাপিয়ে ঘোষ বলেন, ‘‘বুথের কর্মীরাই আমাদের দলের সম্পদ, নেত্রী এটাই শিখিয়েছেন। পাড়ায় পাড়ায় যাঁরা সারা বছর দলটা করেন, তাঁদের অবজ্ঞা করা যাবে না। এটা টিম হিসাবেই কাউন্সিলরদের চলতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy