E-Paper

তোর্সা চা বাগান ছাড়লেন কর্তৃপক্ষ, উদ্বিগ্ন শ্রমিকেরা

মঙ্গলবার সকালেই বাগানে গিয়ে শ্রমিকরা দেখেন, সেখানে নেই বাগান কর্তৃপক্ষ। কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করেই বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছেন ম্যানেজার।

সৌম্যদ্বীপ সেন

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১০:১৫
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের তোর্সা চা বাগানে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। অভিযোগ, কোনও নোটিস ছাড়াই বাগান ছেড়েছেন কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে উদ্বেগে শ্রমিকেরা। অভিযোগ, তাঁদের প্রায় দু’মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, বাগানের মালিক বিল না মেটানোয় একাধিক শ্রমিক মহল্লায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। তার জেরে, পানীয় জলের সমস্যাতেও ভুগছেন বাগানের কয়েকশো শ্রমিক।

এ নিয়ে সোমবার শ্রম দফতরের ডাকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করা হলেও, মালিকপক্ষ সেখানে আসেননি। ভেস্তে যায় বৈঠক। মঙ্গলবার সকালেই বাগানে গিয়ে শ্রমিকরা দেখেন, সেখানে নেই বাগান কর্তৃপক্ষ। কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করেই বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছেন ম্যানেজার। এর আগে, সেখানে বকেয়া বেতনের দাবিতে কাজ বন্ধ করে অবস্থান-বিক্ষোভ করেছিলেন শ্রমিকেরা। এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যাওয়ায় চিন্তায় বাগানের ৬৫০ জন শ্রমিকের পরিবার। এখন আলিপুরদুয়ার জেলায় পাঁচটি চা বাগান বন্ধ হয়ে রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি চা বাগান কালচিনি ব্লকের অন্তর্গত। ব্লকের আরও একটি বাগানে অচলাবস্থা শুরু হওয়ায়, বাগানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব।

এ বিষয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র বারা ওঁরাও বলেন, ‘‘বাগানের এমন পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হব। প্রয়োজনে, মালিকের লিজ় বাতিলেরও দাবি জানানো হবে।’’

বাগান মালিকের বিরুদ্ধে পিএফ ও ওয়েজ়েস কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের সদস্যেরা। এ বিষয়ে সংগঠনের সম্পাদক রাজেশ বার্লা বলেন, ‘‘বেতনের পাশাপাশি, শ্রমিকদের প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকাও জমা দেননি মালিক পক্ষ। একের পরে এক বৈঠকেও উপস্থিত হচ্ছেন না। এ নিয়ে শীঘ্র আমরা অভিযোগ দায়ের করব।’’ এ বিষয়ে শ্রম আধিকারিক আর্থার হোরো বলেন, ‘‘বাগানের মালিক বৈঠকে না আসায়, কোনও কিছু নিয়েই আলোচনা করা যায়নি। তবে আমরা মালিকদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা চাইলে, শুধু তাঁদের নিয়ে বৈঠক ডেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’’ বাগানে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সমস্যার বিষয়ে কালচিনির বিডিও মিঠুন মজুমদার বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ দফতর, পিএইচই-র সঙ্গে কথা বলব।’’ মন্তব্য করেননি বাগান কর্তৃপক্ষ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Joygaon Tea Garden

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy