ট্যাব-কাণ্ডে এ বার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের গাইসাল-জাগিরবস্তি থেকে এক জনকে গ্রেফতার করল ইসলামপুর সাইবার অপরাধদমন শাখার পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার তাকে ইসলামপুরের অতিরিক্ত মুখ্য ও দায়রা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সাজাউল আক্তার। সে গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়ার একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে (সিএসপি) কাজ করত। ট্যাব-কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের মধ্যে সে অন্যতম বলে দাবি পুলিশের পদস্থ কর্তাদের। জেলা পুলিশ সুপার জবি টমাস বলেন, ‘‘ট্যাব-কাণ্ডের সঙ্গে ধৃতের যোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখরের কিচকটোলা হাই স্কুলের ১৩ পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢোকে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ইসলামপুর সাইবার অপরাধদমন শাখায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সে অভিযোগে পুলিশ সাজাউলকে গ্রেফতার করে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় ভদ্র ছেলে বলেই পরিচিত সে। কী করে সে এই ঘটনায় যুক্ত হল তা নিয়ে হতবাক তাঁরা। কেউ কেউ আবার জানিয়েছেন শারীরিক ভাবেও অসুস্থ সে।
বৃহস্পতিবার রাতে চেপড়ার দাসপাড়া ফাঁড়িতে যায় পূর্ব মেদিনীপুর সাইবার অপরাধদমন শাখার পুলিশ। রাতে বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করে তারা। গত কয়েক দিনে ট্যাব-কাণ্ডে এ পর্যন্ত পুলিশ ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে । তাদের মধ্যে বেশির ভাগই চোপড়ার বাসিন্দা। চোপড়া ও ইসলামপুরে কী ভাবে ট্যাব-চক্র এতটা সক্রিয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
অন্য দিকে, শুক্রবারও অধরা ট্যাব-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বলে পরিচিত চোপড়ার লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের করাণিক বাবুল হুসেন ওরফে বাবর। শুক্রবারও স্কুলে অনুপস্থিত ছিল সে। চোপড়ার বাড়িতেও ছিল না সে। ইসলামপুরের ভাড়া বাড়িটি ভিতর থেকে তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার কোনও খোঁজ নেই বলে দাবি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)