ছেলেকে নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীকে কুপিয়ে খুন করলেন মহিলা। উঠোনে কোদাল, হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মারার পর দেহ টেনে নিয়ে গিয়ে রাখেন ঘরে। তার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মা-ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকায়। ধৃত মহিলা এবং পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম যদুভূষণ দাস। বেশ কিছু দিন আগে তিনি বিয়ে করেন দয়া দাসকে। দয়ার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নরসিংহ কুপ্পা এলাকায় খুন হন যদু। সকালে বাড়ি থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা। তার আগেই দয়া এবং তাঁর ছেলে বিক্রম মণ্ডল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। মা-ছেলে জানান, তাঁরা খুন করে দেহ বাড়িতে রেখেছেন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার রাতে মা-ছেলে মিলে যদুকে নৃশংসভাবে খুন করেন। প্রথমে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। এর পর কোদাল এবং হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয় যুবককে। রক্তাক্ত দেহটিকে টেনেহিঁচড়ে বাইর থেকে ঘরের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন দু’জন।
আরও পড়ুন:
কিন্তু কী কারণে এই খুন, তা জানা যায়নি। অনিতা মণ্ডল নামে এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘সকালে এসে দেখলাম রক্তে মাখামাখি জায়গাটা। লোকটা খুবই ভাল ছিল। সকলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ওর। বিক্রম আর ওর মায়ের কড়া শাস্তি হোক।’’ প্রতিমা মণ্ডল নামে আর এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘খুন করে মা-ছেলে থানায় চলে গিয়েছিল। আমরা কিছুই জানতাম না। সকালে বাড়ি থেকে পুলিশ দেহ উদ্ধার করার পরে পুরো বিষয়টা জানলাম। কিন্তু কী ঘটেছে জানি না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। খুনের কারণ জানার চেষ্টা চলছে।