প্রতীকী ছবি।
গোপনে এক তরুণীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি মোবাইলে তুলে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই তরুণীর বিয়ের পর সেইসব আপত্তিকর ছবি তাঁর স্বামীর ফোনে পাঠিয়ে সেই যুবক ফের ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করে। এরপর ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বিহার থেকে গ্রেফতার হয় ওই যুবক।
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রওশন কুমার। বাড়ি বিহারের সহর্ষা জেলার সালকুয়া এলাকার উৎসেরা বাহারুয়া গ্রামে। বিহার পুলিশের সাহায্য নিয়ে বছর আঠাশের রওশনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ধৃতকে জেলা আদালতের সিজিএমের এজলাসে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী উৎপল মণ্ডল বলেন, ‘‘বিচারক ধৃতকে চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন।’’
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রওশন মালদহের কাজিগ্রামের একটি বেসরকারি কলেজ থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ২০১৪ সালে। সে কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের নিত্যানন্দপুরে একটি মেসবাড়িতে থাকত। সেই সুবাদেই ওই মেসবাড়ির মালিকের ঘরেও তার যাতায়াত ছিল। অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে বাড়ির মালিকের তরুণী মেয়ের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি গোপনে মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে রওশন। ছবিও তুলে রাখত সে। পরে ওইসব ছবি দেখিয়ে ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে ওই তরুণী জানান, সামাজিক অসম্মানের ভয়ে সেই ঘটনা তিনি এতদিন বাড়ির কাউকে জানাননি। ২০১৪ সালের শেষে রওশন বিহারের বাড়িতে ফিরে যায়। এদিকে, এর তিন বছর পর ২০১৭ সালে ওই তরুণীর বিয়ে হয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি স্বামীর কর্মসূত্রে বিশাখাপত্তনমে থাকতে শুরু করেন। তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের খবর পাওয়ার পর থেকে রওশন ফের তাঁকে বিরক্ত করা শুরু করে। এমনকি, কয়েকমাস আগে ফোন নম্বর জোগাড় করে ওইসব আপত্তিকর ছবি তাঁর স্বামীর হোয়াট্সঅ্যাপে পাঠিয়ে দেয় রওশন। সেই সঙ্গে সাত লক্ষ টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেল করাও শুরু করে। এখানেই শেষ নয়। তরুণী জানান, রওশন তাঁর নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইলও খুলেছে। জানা গিয়েছে, তাঁদের তিনমাসের একটি সন্তান রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকমাস ধরে অশান্তির জেরে সম্প্রতি বাড়ি ফিরে এসে ওই তরুণী রওশনের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলা পুলিশের ডিএসপি বিপুল মজুমদার বলেন, ‘‘ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বিহার থেকে রওশন কুমার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy