আদালতের নথি জাল করার অভিযোগে এক আইনজীবি ও তাঁর ল-ক্লার্কের বিরুদ্ধে বুধবার ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন মালদহ আদালতের এক বিচারক। বিচারকের অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ অভিযুক্ত আইনজীবী সুরজিৎ দত্ত ও তাঁর ল ক্লার্ক সৌকত আলির বিরুদ্ধে আদালতের নথি জাল করার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার মালদহ বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা জেলার ২৬ টি আদালতে কর্মবিরতি পালন করেন। ফলে, মালদহ ও চাঁচল মহকুমা আদালতে কোনও কাজ হয়নি।
মামলাকারী বিচারকের অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছে মালদহ বার অ্যাসোসিয়েশন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামপ্রসাদ গুপ্তা বলেন, “যতদিন পর্যন্ত ওই বিচারককে মালদহ থেকে অপসারণ না করা হচ্ছে, ততদিন জেলার কোনও আইনজীবী ওই বিচারকের আদালতে মামলা করতে যাবেন না।” তাঁর অভিযোগ, ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিচারক ইংরেজবাজার থানায় মিথ্যে মামলা করেছেন। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিচারকের অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।”
জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে,একটি মামলায় একজন আসামী হাজির হলেও বাকি দু’জন আদালতে হাজির হতে পারেননি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত আইনজীবী সুরজিৎ দত্ত ও তাঁর ল ক্লার্ক সৌকত আলি আদালতে গরহাজির দুই আসামীকে নথি জাল করে হাজির হিসেবে দেখিয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আইনজীবী সুরজিৎ দত্ত বলেন, “আদালতের নথি জাল করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যে কোনও মামলার আসামীকে আদালতে হাজির করার আগের দিন হাজিরার কাগজপত্র তৈরি করে রাখা হয়। সেই মতো একটি মামলায় তিনজন আসামীর মধ্যে একজন হাজির হয়েছিলেন। বাকি দুজন হাজির হননি। একজনকে দিয়ে সই করানোর পর আমার ল ক্লার্ক ভিন্ন কালিতে বাকি দুজন আসামীর নাম লেখায় বিচারক ভেবেছিলেন নথি জাল করা হয়েছে। আমি বারবার বিচারককে বলেও তা বোঝাতে পারিনি।”বিষয়টি নিয়ে আদালতের কোনও বিচারক মন্তব্য করতে চান নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy