ইংরেজবাজার থানার কোতোয়ালিতে একটি সোনার দোকানের মালিক এবং তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে গয়না লুঠ করে পালিয়েছে দুষ্কৃতী। বাসিন্দারা ছুটে এলে ওই দলটি বোমা ছুড়তে ছুড়তে পালায় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ইংরেজবাজার থানার কোতোয়ালিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে চার জনকে আটক করেছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “ওই সোনার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দলটি ধরার চেষ্টা হচ্ছে। কয়েকজনকে জেরা করা হচ্ছে।”
ঘটনার পরেই এলাকার ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাতির পর পুলিশ এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পাশাপাশি ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা শুক্রবার এলাকার দোকান বাজার বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
কোতোয়ালিতে প্রয়াত গনিখান চৌধুরী বাড়ির কাছে উজ্জ্বল রায়ের বড় সোনার দোকান রয়েছে। রাতে দোকান বন্ধ করার সময় দোকানে চার-পাঁচজন গ্রাহকও ছিলেন। সেই সময় ১০-১২ জনের একটি দল দোকানে ঢোকে। উজ্জ্বলবাবু বলেন, “গ্রাহক ভেবে সঙ্গে কথা বলতেই চার-পাঁচজন পাইপগান বার করে সকলকে ঘিরে ফেলে। এক জন আমার কপালে পাইপগান ঠেকায়। তার পরে শুরু হয় মারধর। দোকানের সমস্ত গয়না বস্তায় ভরতে থাকে দলটি।” পিছনেই উজ্জ্বলবাবুর বাড়ি। তিনি জানান, চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাড়ির ভিতর থেকে স্ত্রী ছুটে এলে ওঁকেও মারধর করা হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে ডাকাতি করে দলটি ৫০ লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে বোমা ফাটাতে ফাটাতে ডাকাতরা নরহাট্টার দিকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাতি চলাকালীন দোকানের মালিকের চিৎকার শুনে কিছু লোকজন এসেছিলেন। তাঁদের লক্ষ করে দলটি এলোপাথারি কয়েকটি বোমা ছোঁড়ে। এতে সবাই পিছিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় যান। পুকুরিয়া মোড়ের কাছ থেকে গভীর রাতে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে চার জনকে আটকও করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার জেরে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা। তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। পুলিশ সুপারকে দুষ্কৃতীদের ধরতে বলেছি। ব্যবসায়িক এলাকায় নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy