বালুরঘাট শহরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে নয়া প্রজন্মের পরিচয় করাতে উদ্যোগী হয়েছে লোক সংস্কৃতি অ্যাকাডেমি। রবিবার বালুরঘাট কলেজে শহরের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে অ্যাকাডেমি। ওই আলোচনাতেই শহরকে নিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশভাগ বিরোধী আন্দোলন থেকে তেভাগা সংগ্রামে শহরের অবদানের কথা। সভায় সে সব তুলে ধরা হয়। সেখানে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক তাপস চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এ দিন আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার প্রসূনবাবু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধে বালুরঘাট ও লাগোয়া হিলি এলাকার বাসিন্দাদের অংশ গ্রহণকে এশিয়ার অন্যতম বড় ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই জেলায় চাকরি সূত্রে স্বল্প সময়ের এসে তথ্য ঘেঁটে বালুরঘাটের অবদান জেনে আমি সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি।”
এ দিন প্রাক্তন অধ্যাপক নির্মলেন্দু তালুকদার বালুরঘাটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আসা নিয়ে আলোচনা করেন। তৎকালীন বালুরঘাট মহকুমার ধামইরহাট এবং পত্নীতলা এলাকায় ১৯২৮ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পীড়িত বাসিন্দাদের সাহায্য করতে কলকাতা থেকে বালুরঘাটে চলে এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। শহরের কংগ্রেস পাড়ায় মহারাজা বসুর বাড়ির সামনের সভায় দুর্ভিক্ষের ঘটনায় ইংরেজ সরকারের অবহেলার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সভায় উঠে আসে হাট প্রসঙ্গও। অতীতের হাট রয়েছে বালুরঘাটে। সেই হাটের বিবরণ নথিবদ্ধ করার উদ্যোগও সভায় স্থির হয়েছে। নাট্যচর্চা, লোকশিল্প সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাতে শহরের বিশিষ্ট নাগরিক দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, পীযূষ দেব, পীযূষ ভট্টাচার্য, সমিত ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ দিন লোক সংস্কৃতি অ্যাকাডেমির সভাপতি তথা শিক্ষক সমিত সাহা বলেন, “সৃজলশীলতা ও স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের ইতিহাস নথিবদ্ধ করা হবে। এ দিনের আলোচনা ছিল তার-ই প্রস্তুতি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy