নারকেলডাঙার অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ঝুপড়ির ভিতর থেকে। দেহের অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হাবিবুল্লা মোল্লা (৫৫)। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যক্তি ঝুপড়িতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়লে ঘর থেকে বেরোনোর সুযোগ পাননি। দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার মানুষ।
শনিবার রাতে বিধ্বংসী আগুন লাগে নারকেলডাঙার খালপাড়ের বস্তিতে। বহু ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগুন লাগার অন্তত দু’ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে যায় দমকল। তত ক্ষণে আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়েছিল। অথচ, যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে দমকলের দফতর খুব বেশি দূরে নয়। রবিবার সকালে পোড়া বস্তির ধারে বসে স্থানীয় এক মহিলা বলেন, ‘‘কুড়ি মিনিটের রাস্তা, কেন দু’ঘণ্টা পরে এল দমকল? সব তো পুড়ে গেল আমাদের।’’ রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এলাকার কাউন্সিলর। তিনি জানান, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নারকেলডাঙায় গিয়েছিল দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে রাত ২টো ১০ মিনিটে। দমকলের দু’জন কর্মীও আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আগুন নিভে গেলেও রবিবার সকালে এলাকায় ধোঁয়া রয়েছে। বস্তির বাসিন্দারা সকলে আশ্রয়হীন। মৃত হাবিবুল্লার ঘরের এলাকা ব্যারিকেড করে ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। বস্তির এক যুবক বলেন, ‘‘এখানে অন্তত ২০০টি ঘর ছিল। ৫০টিরও বেশি ঘর পুড়ে গিয়েছে। সব ছাই হয়ে গিয়েছে। আমরা এখন কোথায় যাব?’’
কী কারণে এই আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমকলের তরফে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। তবে এলাকায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল বলে দাবি। সেই কারণেই আগুন এত দ্রুত এত বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।