স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের পরীক্ষায় চাকরি পাওয়া ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল করে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায় সংবিধানসম্মত বা মানবিক সিদ্ধান্ত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। কোচবিহারের স্কুল শিক্ষক শাওন আদিত্য এই জনস্বার্থ মামলা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে প্রায় ১৯ হাজার যোগ্য শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর চাকরিও খারিজ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে কি পরীক্ষার পবিত্রতা বা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি বেশি অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত, না কি বিনা দোষে মানুষের রুটিরুজি চলে যাওয়া!
শাওন নিজে ২০১১ সালে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ফলে ২০১৬ সালের এসএসসি-র যে প্যানেল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে যায়, তাতে তাঁর চাকরি খারিজের কোনও সম্ভাবনা ছিল না। বিনা দোষে চাকরিহারাদের জন্য তিনি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে তালিকাভুক্ত ছিল। আইনজীবীর সাহায্য না নিয়ে আদিত্য নিজেই আদালতে হাজির হয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চ চাকরি খারিজের নির্দেশ দিয়েছিল, বিচারপতি কুমার তাতে ছিলেন। তিনি বলেন, যে হেতু তিনি এই মূল মামলার রায়ের অংশ, তাই তিনি এই মামলায় কিছু বললে তা পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হবে। তা সুবিচার হবে না। তাই এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রিকে প্রধান বিচারপতির অনুমতি নিয়ে অন্য বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)