বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তাঁর ফিক্সড ডিপোজ়িট, গাড়ি-সহ প্রচুর সম্পত্তির হদিস পান দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, অভিযুক্ত কনস্টেবল যে-মাইনে পান, তা থেকে এই বিশাল সম্পত্তির মালিক হওয়া অসম্ভব।
প্রতীকী ছবি।
কাজ করেন কনস্টেবলের পদে, অথচ তিনি বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে বসে আছেন। দুর্নীতি এবং আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় অভিযুক্ত এমনই এক পুলিশকর্মীর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালত। মঙ্গলবার ওই আদালতের মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি দীপঙ্কর গুপ্ত ও কৌঁসুলি সঞ্জয় সিংহ জানান, রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। গত সপ্তাহে অভিযুক্ত কনস্টেবল বিশেষ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। তার শুনানি হয় শনিবার। মঙ্গলবার ওই অভিযুক্তের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
দুর্নীতি দমন শাখা় সূত্রের খবর, ওই কনস্টেবলের নাম মনোজিৎ বাগীশ। তিনি বর্তমানে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় কর্মরত। তার আগে তিনি ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশ এবং রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই কনস্টেবলের মোট আয় হওয়ার কথা ১০ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। কিন্তু তাঁর বিপুল সম্পত্তির খবর মেলার পরে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ওই সময় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৬০৪ টাকা। হাওড়ার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তাঁর কয়েকটি অ্যাকাউন্টের হদিস মেলে। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখাকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন নবান্নের কর্তারা।
গত ফেব্রুয়ারিতে মামলা রুজু করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, আয়কর রিটার্নের কপি, জমির কাগজপত্র। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তাঁর ফিক্সড ডিপোজ়িট, গাড়ি-সহ প্রচুর সম্পত্তির হদিস পান দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, অভিযুক্ত কনস্টেবল যে-মাইনে পান, তা থেকে এই বিশাল সম্পত্তির মালিক হওয়া অসম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy