Advertisement
E-Paper

১৭ তারিখের আগে থেকেই পায়েস খাচ্ছিল দে পরিবার, বাচ্চাদের সন্দেহ এড়ানোই উদ্দেশ্য!

পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন তিনেক আগে থেকেই পায়েস খাচ্ছিলেন দে পরিবারের সদস্যেরা। কেন, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৩
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন তিনেক আগে থেকেই পায়েস খাচ্ছিলেন দে পরিবারের সদস্যেরা।

পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন তিনেক আগে থেকেই পায়েস খাচ্ছিলেন দে পরিবারের সদস্যেরা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ট্যাংরাকাণ্ডে দে ভাইয়েদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৭ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ গত সোমবার রাতে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়েছিলেন পরিবারের ছয় সদস্য। প্রণয় দে, প্রসূন দে, সুদেষ্ণা দে, রোমি দে-র পাশাপাশি কিশোরী প্রিয়ম্বদা দে এবং কিশোর প্রতীপ দে-কেও খাওয়ানো হয়েছিল সেই পায়েস। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ওই ঘটনার দিন তিনেক আগে থেকেই পায়েস খাচ্ছিলেন দে পরিবারের সদস্যেরা। কেন, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে যে পায়েস খেয়েছিলেন দে পরিবারের সদস্যেরা, তাতে তুলসী পাতা মেশানো হয় বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। দে পরিবারের জীবিত তিন সদস্য প্রণয়, প্রসূন এবং প্রতীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই বিষয়ে তথ্যসূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা জানতে পেরেছেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ার দিন তিনেক আগে থেকেই পায়েস খাচ্ছিলেন দে পরিবারের সদস্যেরা। মনে করা হচ্ছে, সোমবার হঠাৎ করে পায়েস খাওয়ার সময়ে বাচ্চাদের মনে যাতে কোনও সন্দেহ না হয়, সে জন্যই প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, অরুচি কাটাতে পায়েসের সঙ্গে তুলসী পাতা মেশানো হয়। এমনকি, মেশানো হয় নিমপাতাও। তদন্তকারীদের একটা সূত্রের দাবি, সোমবার রাতে পায়েস খাওয়ার পরের দিন প্রণয় এবং প্রসূনের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। তার পরেই খুন করা হয় দে পরিবারের তিন মহিলা সদস্যকে!

ওই তিন মহিলার দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ময়নাতদন্তের ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে সুদেষ্ণা, রোমি, প্রিয়ম্বদার। এই রিপোর্টের সঙ্গে প্রণয়ের দাবি মিলে যাচ্ছে। অর্থাৎ, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদই ‘খুন’ করা হয়েছে ওই তিন জনকে। প্রশ্ন উঠছে, তার পরে কী ঘটেছিল দে বাড়িতে? রাতে বাড়ি থেকে বার হওয়ার আগে কী করেছিলেন দে ভাইয়েরা? তবে কি দেহ নিয়েই বাড়িতে ছিলেন তাঁরা?

তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, মৃত প্রিয়ম্বদার ঘরে কিশোর প্রতীপের হাতের শিরা কাটা হয়। শেষ পর্যন্ত যদিও বেঁচে গিয়েছে প্রতীপ। এখন পর্যন্ত পুলিশ জীবিত তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে, প্রসূনই তাঁর ভাইপো প্রতীপের হাতের শিরা কেটেছিলেন। ওই কিশোরও একই দাবি করেছে। এই দাবিই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Tangra Murder Case Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy