প্রতীকি ছবি।
মালদহে ব্রাউন সুগার উদ্ধারের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ফের কালিয়াচকে প্রায় এক কেজি ব্রাউন সুগার সমেত দুই কারবারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ফলে আট দিনে কালিয়াচকেই উদ্ধার প্রায় চার কেজি ব্রাউন সুগার। আর জেলাতে আট দিনে ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে প্রায় ছ’কেজি। ব্রাউন সুগারের কারবারের নেপথ্যে কি জাল নোট কারবারিরা, উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
জাল নোট কারবারের অন্যতম করিডর মালদহের সীমান্তবর্তী থানা কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর। নোট বন্দির পরেও বদলায় নি জাল নোট কারবারের ছবিটা। যদিও এখন জেলায় জাল নোটের কাবরারে কিছুটা ভাটা পড়েছে, দাবি পুলিশের তদন্তকারী কর্তাদের। তাঁদের দাবি, জাল নোটের কারবারে পুলিশ, বিএসএফের পাশাপাশি নজরদারি চালাচ্ছে এসটিএফ, এনআইএর মতো তদন্তকারী সংস্থাও। জাল নোট কারবারে ভাটা পড়লেও কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগরে রমরমা হয়ে উঠেছে ব্রাউন সুগারের
কারবার। পাঁচ বছর আগে কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগরে দেদার চাষ হত পোস্ত। এখন জেলায় নির্মুল হয়েছে পোস্ত চাষ, দাবি পুলিশের। তারপরেও মনিপুর থেকে জেলায় আসছে কেজি কেজি ব্রাউন সুগার। ফলে জেলায় ব্রাউন সুগার উদ্ধারের ঘটনায় যেন রোজকার হয়ে উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কালিয়াচকের কাজিগ্রাম মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ সামিউল মোমিন ও খাদেমুল ইসলামকে। তাদের বাড়ি কালিয়াচকেই। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। মোটর বাইকও উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার ধৃতদের মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গত, আট দিনে চার বার ব্রাউন সুগার উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে কালিয়াচক ও গাজলে। কখনও রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), কখনও আবার পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ব্রাউন সুগার। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘নজরদারির কড়াকড়ি হতেই একের পর এক ব্রাউন সুগারের কারবারি গ্রেফতার হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy