Advertisement
E-Paper

রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি দেওয়া ‘অধ্যাপক’ একই অপরাধ বার বার করেছেন, আদালতে দাবি পুলিশের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় অভিযুক্ত ‘অধ্যাপক’ রানা রায় বার বার একই অপরাধ করেছেন। তল্লাশি চালানোর সময় তাঁর কাছে থেকে বেশ কিছু চিঠি মিলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:২৬
স্নেহমঞ্জু বসু (বাঁ দিকে)। রানা রায় (ডান দিকে)।

স্নেহমঞ্জু বসু (বাঁ দিকে)। রানা রায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় অভিযুক্ত ‘অধ্যাপক’ রানা রায় বার বার একই অপরাধ করেছেন। তল্লাশি চালানোর সময় তাঁর কাছে থেকে বেশ কিছু চিঠি মিলেছে। সেই সব চিঠির খামগুলির বিশেষত্ব রয়েছে। সোমবার আদালতে এমনটাই দাবি করলেন সরকারি আইনজীবী।

রবিবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে রানাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় শনিবারই মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল অভিযুক্ত ‘অধ্যাপক’ রানার বিরুদ্ধে। ঠিক তার দু’দিনের মাথাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এর পর সোমবার রানাকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করায় পুলিশ। জামিনের আর্জি জানিয়ে রানার আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁর মক্কেল একটি কলেজে ইতিহাসের ‘অধ্যাপক’ এবং বিভাগীয় প্রধান। কাজে যোগ না দিলে চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে।

এবিএন সিল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানার বাড়ি বেলগাছিয়ায় হলেও তিনি কর্মসূত্রে কোচবিহারেই থাকতেন। কিন্তু গত চার মাস ধরে কলেজ যাননি। শেষ বার গত এপ্রিল মাসে কলেজে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে ‘মেডিক্যাল লিভে’ রয়েছেন। সোমবার আদালতে রানার আইনজীবী জানান, গত ১৫ দিন ধরে তাঁর মক্কেল ভুবনেশ্বরে ছিলেন। ছেলেকে কলেজে ভর্তি করাতে সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ নোটিসও দেয়নি। আইনজীবীর কথায়, ‘‘উনি বেশির ভাগ সময় কোচবিহারেই থাকেন। ওঁর আরও একটি ঠিকানা রয়েছে। উনি কোথাও পালাচ্ছিলেন না।’’

পাল্টা সরকারি আইনজীবীর যুক্তি, রানা পালিয়ে যেতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবীর সওয়াল, ‘‘অভিযুক্ত একই অপরাধ বার বার করেছেন। একাধিক অভিযোগ রয়েছে ওর বিরুদ্ধে। বহু চিঠি পাওয়া গিয়েছে। যার খামগুলিরও বিশেষত্ব রয়েছে। সেই সব বাজেয়াপ্ত করা জরুরি।’’

পুলিশ সূত্রেই খবর, রানার বিরুদ্ধে এর আগে ২০১৯ সালে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তখন রানাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে পলাতক বলে জানানো হয়েছিল আদালতে। পরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিয়ালদহের ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় এবং শেষে আদালতের নির্দেশে আবার জামিনও পেয়ে যান রানা। শুধু তা-ই নয়, নিজেকে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার হিসাবে পরিচয় দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে রানার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও এলাকার ব্যবসায়ী এবং দরিদ্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে রানা অনেক টাকা ধারও করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। রানার বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং পরিচয় জালিয়াতির অভিযোগ তুলে দাবি, সব মিলিয়ে এলাকার মানুষজনের কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকার ধার করেছিলেন রানা।

Jadavpur University
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy