Advertisement
E-Paper

চল্লিশ নেতার ইস্তফা ঘোষণা

পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কোন্দলে ব্যতিব্যস্ত পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। শুক্রবার দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দলের তিন নেতাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কারের পরের দিন শনিবার দলের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন জেলার বেশ কয়েকজন নেতা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২১

পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কোন্দলে ব্যতিব্যস্ত পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। শুক্রবার দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দলের তিন নেতাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কারের পরের দিন শনিবার দলের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন জেলার বেশ কয়েকজন নেতা।

শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের একটি লজে বৈঠকে বসেন তাঁরা। এই বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন সদ্য দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া তিন নেতা। বৈঠকের পরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি-র বিভিন্ন সংগঠনের ৪০ জন নেতা তাঁদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তবে তাঁরা দল ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও জেলা সভাপতি দাবি করেছেন, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর কাছে কোনও ইস্তফাপত্র আসেনি।

সাসপেন্ড হওয়া নেতাদের মধ্যে দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রাজীব মাহাতো অভিযোগ করেন, ‘‘জেলা সভাপতি বা রাজ্য নেতৃত্ব যে রকম এক তরফা ভাবে আমাদের সাসপেন্ড করেছেন, তা জেলার অনেক নেতা-কর্মীই মেনে নিতে পারেননি। বিশেষত যুব নেতৃত্ব দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তাই ৪০ জন নেতা নিজ-নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।’’ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ওবিসি মোর্চা, যুব মোর্চা, পঞ্চায়েত প্রমুখ-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব।

এ দিন শহরের দুলমি এলাকার একটি লজে উপস্থিত এক নেতা হরি হালদার দাবি করেন, ‘‘আমি ওবিসি মোর্চার জেলা নেতা হিসেবে কাজ করছিলাম। জেলা সভাপতি নিজের খেয়াল খুশিমতো দল চালাচ্ছেন। একতরফা ভাবে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যত দিন উনি জেলা সভাপতি পদে থাকবেন, আমরা সাধারণ সদস্য হিসেবেই কাজ করব।’’

গৌতম দাস নামে আরেক নেতা বলেন, ‘‘আমি যুব মোর্চায় কাজ করছিলাম। কিন্তু যে ভাবে দল চলছে, তার সঙ্গে এক মত হতে পারছি না। কর্মীদের কথা শোনা হচ্ছে না। তাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত।’’ তিনি জানান, তাঁরা ইস্তফাপত্র রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাবেন।

এ দিনের বৈঠক শেষে ইস্তফাপত্র দলের জেলা দফতরে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে রাজীব মাহাতো দাবি করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তা দলের জেলা সভাপতির কাছে পৌঁছয়নি।

জেলা সভাপতি দাবি করেন, ‘‘আমি কোনও ইস্তফাপত্র পাইনি। তবে দলে শৃঙ্খলা অত্যন্ত জরুরি। কারা পদত্যাগ করেছে জানি না।’’ এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘তবে আগে ওবিসি মোর্চার যে কমিটি ছিল, সেই কমিটির সভাপতি অপসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমিটিও ভেঙে গিয়েছে। এ বার কারা কমিটিতে থাকবেন না থাকবেন, সেটা নতুন সভাপতিই ঠিক করবেন।’’

Suspension BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy