গ্রেফতার ৬ জন। নিজস্ব চিত্র।
চণ্ডীপুজো উপলক্ষে গভীর রাতে উচ্চস্বরে ডিজে বক্স বাজিয়ে চলছিল অনুষ্ঠান। অভিযোগ পেয়েই এলাকায় গিয়ে বক্স বাজানো বন্ধ বলায় পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া ক্ষুদিরাম পল্লি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় এক সাব-ইন্সপেক্টর ও দুই সিভিক কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্ষুদিরাম পল্লি এলাকায় রবিবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তারস্বরে ডিজে বক্স চালিয়ে অনুষ্ঠান করছিলেন এলাকার কয়েক জন যুবক। এলাকার মানুষের একাংশের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষ্ণুপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর অরিন্দম সেনাপতির নেতৃত্বে এক দল পুলিশ অনুষ্ঠানস্থলে যান। অভিযোগ, সেখানে উদ্যোক্তাদের ডিজে বক্স বাজানো বন্ধ করার অনুরোধ জানালে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক পুলিশকর্মীদের ঘেরাও করে ফেলেন। দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা, পরে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশের দাবি, সেই সময় সাব-ইন্সপেক্টর অরিন্দম ও দুই সিভিক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় যুবকেরা। ঘটনায় মাথায় চোট পান অরিন্দম। এর পর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনুষ্ঠানস্থল থেকে ডিজে বক্স-সহ সাউন্ড সিস্টেম বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি পুলিশ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের সোমবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপক বাগদী বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। শুনেছি, চণ্ডীপুজো উপলক্ষে গভীর রাত পর্যন্ত গানের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানস্থলে পুজোর উদ্যোক্তারা ছাড়াও বেশ কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। আজ সকালে অনুষ্ঠানস্থলে এসে দেখি চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। প্যান্ডেলের কাপড়, ত্রিপল সব ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।’’ পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ধৃত স্থানীয় যুবক প্রসেনজিৎ বারুই বলেন, ‘‘আমরা ওই জায়গায় অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলাম। পুলিশকে আমরা মারধর করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy