পরিদর্শন: রঘুনাথপুর ১ ব্লকের সেলেটা মৌজায়। নিজস্ব চিত্র
শহরাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় জঙ্গলের পরিমাণ কম। এ দিকে, ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে ঘরবাড়ি। বনসৃজন করার মতো একলপ্তে অনেকখানি জমির অভাব। তাই খুব কম জায়গায় ‘মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতিতে (জাপানি উদ্ভিদ বিজ্ঞানী আকিরা মিয়াওয়াকির নামানুসারে) স্বল্প সময়ে অল্প জায়গায় ঘন বনাঞ্চল তৈরির প্রকল্প শুরু হয়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ব্লকে।
একশো দিনের প্রকল্পে সে কাজের সূচনা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব দিব্যেন্দু সরকার। ছিলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, এসডিও (রঘুনাথপুর) দিব্যা মুরুগেশন প্রমুখ।
রঘুনাথপুর শহর থেকে কিছু দূরে বাবুগ্রাম পঞ্চায়েতের সিলেটি মৌজায় ওই বনাঞ্চল তৈরি করা হবে। এই জেলায় প্রথম ‘মিয়াওয়াকি’ পদ্ধতিতে থুনবার্গ বনাঞ্চল (সুইডেনের বিখ্যাত পরিবেশকর্মী স্কুল পড়ুয়া গ্রেটা থুনবার্গের নামানুসারে) তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিডিও (রঘুনাথপুর) অনির্বাণ মণ্ডল। শুক্রবার প্রকল্পের সূচনা করে পঞ্চায়েত সচিব বলেন, ‘‘হাওড়া, মুর্শিদাবাদ-সহ আরও কয়েকটি জেলায় মিয়াওয়াকি পদ্ধতিতে বনাঞ্চল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ বার রঘুনাথপুরে সেই কাজ শুরু করা হল।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কমবেশি মাত্র ২৫ ডেসিমিল জমিতেই ওই বনাঞ্চল তৈরি করা হবে। বসানো হবে বিভিন্ন প্রজাতির ৩,২০০টি গাছ। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্বের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিডিও। তিনি জানান, ওই প্রকল্পে কাজ পেয়েছেন প্রায় পঁচিশ জন শ্রমিক। ধাপে ধাপে একশো জন শ্রমিক ওই প্রকল্পে কাজ পাবেন।
এই বনাঞ্চল তৈরির মাধ্যমে শহরাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় দূষণের মাত্রা আরও কমানোই লক্ষ্য। দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যেই ঘন বনাঞ্চল তৈরি করা সম্ভব। বিডিও জানাচ্ছেন, পুরুলিয়ার মাটিতে দ্রুত বড় হয়ে ওঠে এই ধরনের ঘোড়ানিম, বহড়া, দেবদারু, অর্জুন, শাল-সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও গুল্ম নির্বাচন করে ওই বনাঞ্চলে বসানো হবে। জমিতে তৈরি করা হবে ঘাসের আস্তরণ। তিনি বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ঘন বনাঞ্চল তৈরি করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যেই ওই বনাঞ্চল তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy