Advertisement
E-Paper

এখনও গাছের নীচে পড়াশোনা

এখনও খোলা আকাশের নীচে চলছে ঝালদা ১ ব্লকের চাতামঘুটু প্রাথমিক স্কুল। মিড-ডে মিল রান্নার ভার নিয়ে কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে দড়িটানাটানি নিয়ে অচলাবস্থা চলছে সেখানে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৫:০২
এখনও তালা। নিজস্ব চিত্র

এখনও তালা। নিজস্ব চিত্র

এখনও খোলা আকাশের নীচে চলছে ঝালদা ১ ব্লকের চাতামঘুটু প্রাথমিক স্কুল। মিড-ডে মিল রান্নার ভার নিয়ে কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে দড়িটানাটানি নিয়ে অচলাবস্থা চলছে সেখানে। এ দিকে চৈত্রের গনগনে রোদে ঘেমেনেয়ে অস্থির হচ্ছে ছোটছোট ছেলেমেয়েরা। এরই মধ্যে আবার দিন কয়েক আগে স্বনির্ভর দলের কিছু মহিলা এবং কয়েক জন অভিভাবক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিড-ডে মিলের টাকা তছরুপের অভিযোগ নিয়ে প্রশানের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে।

স্বনির্ভর দলের লোকজন ও অভিভাবকদের একাংশের দাবি, খাতায়কলমে ৫৯ জন ছাত্রছাত্রীর নাম থাকলেও স্কুলে যায় মেরেকেটে পনেরো থেকে সতেরো জন। অভিযোগ, বেশি ছাত্রছাত্রী দেখিয়ে মিড-ডে মিলের টাকা তছরুপ করা হচ্ছে। এসআই (ঝালদা ১ চক্র) শুভঙ্কর নন্দকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ রকমের একটা অভিযোগ আমার দফতরে জমা পড়েছে বলে জানি। নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় সেটা দেখা হয়ে ওঠেনি।

তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিক্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন চাতামঘুটু প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মধুমিতা মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘বিবাদের শুরু সেই রান্নার ভার নিয়ে। আমি তো আর কাউকে মিল রান্নার ভার দিতে পারি না। সেটাই ওঁরা বুঝতে চাইছেন না। কেউ যদি রান্নার ভার না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন তা হলে আমার কিছুই বলার নেই।’’ তাঁর দাবি, তদন্ত করে দেখা হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ওই স্কুলে অচলাবস্থার সূত্রপাত চলতি মাসের শুরুতে। তাঁদেরও রান্না করতে দিতে হবে, এই দাবিতে ৫ মার্চ স্কুলের রান্না ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন গ্রামের নতুন স্বনির্ভর দলের সদস্যারা। পরবর্তীকালে বিবাদ আরও চরমে উঠলে তালা পড়ে স্কুলের মূল গেটেই। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা, বিডিও এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এসআই (ঝালদা ১ চক্র) শুভঙ্করবাবু বলেন, ‘‘আমি ঝালদা থানার পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।’’ এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজ অবশ্য বলছেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে পুলিশ তো আর স্কুলে গিয়ে তালা ভাঙতে পারে না। যা করার সেটা প্রশাসনই করবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারে।’’

এই ব্যাপারে এসডিও (ঝালদা) সুশান্তকুমার ভক্ত বলেন, ‘‘আমি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কী করা যায় দেখছি।’’

Jhalda Education Primary School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy